Apan Desh | আপন দেশ

অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:১২, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২

আপডেট: ১১:২২, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২

অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ

প্রতীকী ছবি

২০২২ সালের শেষের দিকে বিদেশে যাওয়া কর্মীর সংখ্যা হবে ১১ লাখ। সরকার বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয় মেনে নিচ্ছে কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, বাধ্য হয়ে না। সংশ্লিষ্ট দেশের সিস্টেমের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হচ্ছে। আমরা নজর রাখছি, এরমধ্যেই অন্যায় যেন না হয়।

কোন দেশে সর্বনিম্ন কত বেতনে বাংলাদেশি কর্মীরা যাবেন, সেটির একটি চাহিদাপত্র তৈরির বিষয়ে কাজ করছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় তার মূল্যায়ন চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান ইমরান আহমেদ। 

এ সময় মন্ত্রী সৌদিতে বাংলাদেশিদের সঙ্গে অন্য দেশের কর্মীদের বেতনের পার্থক্য তুলে ধরে তিনি বলেন, সৌদিতে আমাদের কর্মীরা পান ৮০০ রিয়াল আর অন্যান্য দেশের কর্মীরা পান ১ হাজার থেকে ১২০০ রিয়াল। তবে বেতন বাড়াতে হলে দক্ষতা বাড়াতে হবে। 

অভিবাসন ব্যয় প্রসঙ্গে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, অভিবাসনটা ওয়ান ওয়ে প্রসেস না। দুই পক্ষ থেকে এটা হয়। কর্মী পাঠানো দেশ হিসেবে আমাদের একটা সীমাবদ্ধতা আছে।

মন্ত্রী মালয়েশিয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, মালয়েশিয়ায় আমাদের এমওইউ মোতাবেক খরচ প্রায় ৮০ হাজার টাকা। কিন্তু আমি শুনছি মালয়েশিয়ায় ২ থেকে ৩ লাখ টাকা নিচ্ছে।

মালয়েশিয়ায় যে পরিমাণ কর্মী যাচ্ছে তার চেয়ে প্রায় ২০ গুণ কর্মীকে ভুয়া মেডিকেল টেস্ট করানো হচ্ছে– এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইমরান আহমদ বলেন, এজন্য যেসব এজেন্সি ও মেডিকেল সেন্টার দায়ী। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রমাণ হাতে এলে লাইসেন্স বন্ধ করে দেয়া হবে।  এসময় মন্ত্রী জানান, চলতি বছর শেষে বিদেশে যাওয়া কর্মীর সংখ্যা হবে ১১ লাখ।

এ বিষয়ে ইমরান আহমদ বলেন, আমরা এখন অর্থবছরে হিসাব করি। অর্থবছর হিসাব করলেও ক্যালেন্ডার ইয়ারের ন্যায় কর্মী সংখ্যা ১১ লাখ হয়ে যাবে। তবে এতেই আমি সন্তুষ্ট নই। মালয়েশিয়ায় ভালোভাবে যাওয়া শুরু হয়ে গেলে ১৫ থেকে ১৬ লাখ কর্মী হয়ে যাবে।

আইওএম ইভেন্টে অভিবাসন গভার্নেন্স, টেকসই পুনঃএকত্রীকরণ এবং বাংলাদেশে সচেতনতা বৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়গুলোতে আলোকপাত করা হয়েছে।

এই ইভেন্টে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এতে অভিবাসন-সম্পর্কিত কিছু গল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে অভিবাসনের সুযোগ ও চ্যালেঞ্জের বিষয়গুলো প্রাসঙ্গিকভাবে উপস্থাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুস সালেহীন, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের উপপ্রধান ড. বার্ন্ড স্প্যানিয়ার, আইওএম বাংলাদেশের মিশন প্রধান আবদুসাত্তর এসয়েভ, আইওএম বাংলাদেশের সিনিয়র নীতি উপদেষ্টা শহীদুল হক বক্তব্য রাখেন।

আরো বক্তব্য রাখেন বিএমইটির মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলম, ব্র্যাকের (শিক্ষা, দক্ষতা ও অভিবাসন) পরিচালক সাফি রহমান খান, এবং ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান।

আপন দেশ ডটকম/ এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়