ছবি: আপন দেশ ডটকম
সিলেটের এক সময়ের সম্ভাবনাময় বাঁশ ও বেতের কুটির শিল্প আজ কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে। প্লাস্টিক পণ্যের অবাধ ব্যবহার, করোনা মহামারির ধাক্কা এবং ভয়াবহ বন্যার দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাবে এ শিল্পের বিলুপ্তি তরান্বিত হয়েছে।
এক সময় সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে বাঁশ দ্বারা তৈরি হতো শিখাই, ফলদানি, বাস্কেট, বক্স, বিউটি বক্স, কসমেটিক্স বক্স, টি ট্রে, বিয়ের ডালা, লাইট সেট, মাথার ক্লিপ, কলমদানিসহ চোখ ধাঁধাঁনো হরেক রঙের জিনিস। নির্দিষ্ট ডিজাইনের এসব পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হতো। গত দুই দশক দেখা যায় না সেই কার্যক্রম। বর্তমানে অল্প সংখ্যক লোকজন বাঁশ ও বেত দিয়ে জিনিসপত্র তৈরি করছেন।
শিল্পটির সাথে জড়িতরা জানান, ৯০-এর দশকে হস্তজাত শিল্পের ব্যাপক চাহিদা ছিল। দেশেও বিপণন নীতি উন্নত না হওয়ায় এবং প্লাস্টিকের সহজলভ্যতায় এ শিল্প বিলুপ্তির পথে। সরকার প্রণোদনার আকারে স্বল্প সুদে ঋণ দেয়। কিন্তু বিভিন্ন শর্ত থাকায় সংশ্লিষ্টরা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
তারা জানান, দেশের বাজারে বাঁশ-বেত শিল্পের চাহিদা নেই বললেই চলে। ফলে এ শিল্পের সাথে জড়িতরা জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে শ্রমিক, মজুর, স্বর্ণের কারিগরসহ বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে পড়ছেন।
এভাবে শত বছরের ঐতিহ্য আজ বিলুপ্তির পথে। কেউ কেউ বাপ-দাদার অতীত ঐতিহ্যকে ধরে রাখার চেষ্টা করলেওস তারা ভালো নেই।
ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পের হারানো গৌরব ফেরাতে পণ্যের বাজার সৃষ্টি করা, প্লাস্টিকের অবাধ ব্যবহার কমানো, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, প্রণোদনা বা সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করার দাবি জানান শিল্প সংশ্লিষ্টরা।
আপন দেশ ডটকম/ আবা
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
