ফাইল ছবি
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) একদল গবেষক তিন বাংলাদেশির শরীরে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের নতুন উপধরন শনাক্ত করেছেন। অবশ্য ইতোমধ্যে অন্যান্য দেশে তা শনাক্ত হয়। এর নাম 22D : Omicron/BA.2.75। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুর রশিদ এ কথা জানান।
তিনি জানান, গত রোববার জিনোম সেন্টারের একদল গবেষক যশোরের তিনজন আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে সংগৃহীত ভাইরাসের আংশিক (স্পাইক প্রোটিন) জিনোম সিকুয়েন্সের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের নতুন এই উপধরন শনাক্ত করেছেন।
গবেষক দলের বরাত দিয়ে তিনি জানান, আক্রান্ত তিনজন পুরুষ, যাদের একজনের বয়স ৫৫ এবং বাকি দুই জনের ৮৫ বছর। তাদের মধ্যে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং অন্যরা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি বলেন, আক্রান্তদের শরীরে জ্বর, গলা ব্যথা, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন মৃদু উপসর্গ রয়েছে।
তিনি আরো জানান, ওমিক্রনের উপধরনটি জুলাই মাসে ভারতে প্রথম শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া আগস্ট মাসে এই উপধরন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শনাক্ত হয়। ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তিরাও এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানান তিনি।
আব্দুর রশিদ বলেন, আগামী দিনে এই উপধরন বর্তমানে সংক্রমণশীল অন্যান্য উপধরনের তুলনায় বেশি সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও জিনোম সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এই সাব-ভ্যারিয়েন্টটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সহজেই ফাঁকি দিতে সক্ষম। এ জন্য মাস্ক ব্যবহারসহ কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি জানান, অচিরেই পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকুয়েন্স করে আরো তথ্য জানা সম্ভব হবে। সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তকরণের কাজ জিনোম সেন্টারে অব্যাহত থাকবে।
এর আগে জিনোম সেন্টারে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের স্থানীয় সংক্রমণও শনাক্ত করা হয়েছিল।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদের নেতৃত্বে করোনাভাইরাসের নতুন এইেউপধরন শনাক্তে গবেষক দল কাজ করেছে।
দলের অন্য সদস্যরা হলেন বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাসান মো. আল-ইমরান, পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানভীর ইসলাম, ড. সেলিনা আক্তার, ড. অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, জিনোম সেন্টারের গবেষণা সহকারী প্রশান্ত কুমার দাস ও মো. আলী আহসান সেতু প্রমুখ।
আপন দেশ ডটকম/আরইউ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।