Apan Desh | আপন দেশ

বাংলাদেশের ক্ষুদ্রতম মসজিদ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০০:৪৮, ১ অক্টোবর ২০২২

আপডেট: ০০:৪৯, ১ অক্টোবর ২০২২

বাংলাদেশের ক্ষুদ্রতম মসজিদ

ছবি: আপন দেশ ডটকম

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে প্রাচীন সময়ের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটি ছোট মসজিদ। প্রথম দেখায় এটিকে মজজিদ মনে হবে না কারো। এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদটির দৈর্ঘ্য ছয় ফুট, প্রস্থও একই। অর্থাৎ এটি একটি বর্গাকার মসজিদ। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় এটি দেশের ক্ষুদ্রতম মজজিদ।

ইসলামিক ঐতিহ্যের অনন্য নিদর্শন এই মসজিদের নাম ‘কাদিরবক্স মন্ডল মসজিদ’। এই নামেই প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরে তালিকাভুক্ত হয়েছে স্থাপনাটি।

এই মজজিদে ইমামসহ একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন পাঁচজন। স্থানীয়দের ধারণা এই মসজিদটি চারশ থেকে পাঁচশ বছরের পুরোনো।

মজার বিষয় হলো, এলাকার অনেকেই জানেন না এটি মসজিদ। প্রাচীন স্থাপত্য, নকশা ও আরবি হরফ মুদ্রিত মসজিদটি দৃষ্টিনন্দন। তবে তার রূপ-জৌলুস নেই। কে কখন মসজিদটি নির্মাণ করেছেন তার সঠিক কোনো তথ্য জানা যায়নি।

পলাশবাড়ী পৌরশহরের জিরো পয়েন্ট চৌমাথা মোড় থেকে আধা কিলোমিটার দূরে নুনিয়াগাড়ি গ্রামে মসজিদটির অবস্থান। চুন, সুরকি ও ইটের তৈরি মসজিদের ভেতরে রয়েছে একটিমাত্র কক্ষ।

নুনিয়াগাড়ি গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা মালেক মিয়ার (৬৫) বলেন, ‘লোকজন বেশি হলে মসজিদের সামনে চট বিছিয়ে নামাজ পড়তেন মুসল্লিরা। পরে লোকজন বেশি হওয়ায় এই নামেই পাশে আরেকটি মসজিদ তৈরি করেন এলাকাবাসী।’
স্থানীয় আরেক প্রবীণ বাসিন্দা আব্দুর রহিম (৭২) বলেন, ‘আমাদের দাদাও বলতে পারেননি আসলে কতদিন আগের মসজিদটি।’

মসজিদটির ইতিহাস উদ্ঘাটন কমিটির সদস্য, মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি ও মন্ডল পরিবারের সদস্য আব্দুল মতিন মন্ডল বলেন, ধারণা করা হয় এটি নবাব সুজা-উদ-দৌলার আমলের।

নুনিয়াগাড়ি গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা ও মসজিদ কমিটির সভাপতি রেজানুর রহমান বলেন, মসজিদটি সংরক্ষণের জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগসহ বিভিন্ন দফতরে আবেদন করা হয়। ২০১৩ সালের ২ জুন মসজিদটি সংরক্ষিত প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ হিসাবে ঘোষণা করে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ফলে এটি রংপুর বিভাগের মধ্যে প্রাচীন স্থাপত্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান বলেন, মসজিদটির বিষয়ে তার জানা নেই। পরিদর্শন করে সংস্কারের মাধ্যমে এটি গাইবান্ধার ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে।

আপন দেশ ডটকম/আরএ/আবা

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়