Apan Desh | আপন দেশ

চাঁদপুরে টাকা নিয়ে ভোট না দেয়ায় গ্রাম্য শালিস

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:৩৬, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

চাঁদপুরে টাকা নিয়ে ভোট না দেয়ায় গ্রাম্য শালিস

ফাইল ছবি

‘যারা আমাকে ভোট দেয়নি। তাদের কাছ থেকে আমি টাকা ফেরত চাচ্ছি’। এমন করেই সোজাসাপ্টা বলছিলেন পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী নাম মো. বশির উল্লাহ পাটোয়ারী। 

নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ভোটারদের কাছে ঘুরে টাকা ফেরত চাইছেন তিনি। বশির উল্লাহ পাটোয়ারি গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্যপদে প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃতীয় হয়েছেন।

টাকা ফেরত চেয়ে দুই গ্রামে ইতিমধ্যে এই নিয়ে বৈঠক বসিয়েছেন তিনি। বৈঠকে কিছু ভোটার টাকা ফেরত দিয়েছেন আর কিছু ভোটার তার টাকা ফেরত দিতে চাইছেন না বলে জানিয়েছেন বশির উল্লাহ।

পরাজিত সদস্য পদপ্রার্থী বশির উল্লাহ জানান, পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের (রামদাসেরবাগ, ইছাপুরা, চৌমুখা গ্রাম) সাধারণ সদস্যপদে প্রার্থী (প্রতীক মোরগ) হয়েছিলেন বশির উল্লাহ। তার সঙ্গে ওই ওয়ার্ডে আরও তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হওয়ার জন্য ৬০০ ভোটারকে জনপ্রতি ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকা দেন। কিন্তু নির্বাচনে তিনি মাত্র ৩৩৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।

নির্বাচনী ফলাফল মেনে নিতে না পেরে ভোটের কয়েক দিন পর তিনি যেসব ভোটারকে টাকা প্রদান করে ভোট প্রদানের প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন, তাদের কাছে টাকা ফেরত চাওয়া শুরু করেন।

ওই এলাকার কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, তারা ওই প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু বশির উল্লাহ পাটওয়ারী টাকা ফেরত পেতে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন ভোটার দাবি করেন, তাদের কাছ থেকে ভোটের বিপরীতে বিভিন্ন সেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বশির উল্লাহ পাটোয়ারী। ভোট দেয়ার কথা নিশ্চিত করার পরও অনিচ্ছা সত্ত্বে তাদের টাকা দেয়া হয়েছে। এখন নির্বাচনে হেরে টাকা আদায়ের মিশনে নেমেছেন। 

টাকা ফেরত চাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে মো. বশির উল্লাহ পাটওয়ারী বলেন, যারা আমাকে ভোট দেয়নি। তাদের কাছ থেকে আমি টাকা ফেরত চাচ্ছি। 

উল্লেখ্য, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনে ২ হাজার ৮৭৮ জন ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ৭০৬টি ভোট পড়ে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম (ফুটবল প্রতীক) ৬১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. রুহুল আমিন খান গাজী (আপেল প্রতীক) পেয়েছেন ৫১২ ভোট। বশির উল্লাহ পাটওয়ারী (মোরগ প্রতীক) পেয়েছেন ৩৩৪ ভোট। আরেকজন প্রার্থী আতিকুল ইসলাম তালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৪২ ভোট।

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়