Apan Desh | আপন দেশ

তিন মুকুলই বাঁচতে চায় আপনার সহায়তায়

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৪৪, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩

আপডেট: ২০:৪৫, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩

তিন মুকুলই বাঁচতে চায় আপনার সহায়তায়

ছবি: সংগৃহীত

দুরারোগ্য ব্যাধি লিভার সিরোসিসে ভুগছেন সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন কাদের মুকুল। অসুস্থতার সঙ্গে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে লড়াই করে সহায় সম্বল খুঁইয়েছেন। এখন তিনি নিঃস্ব। চাকরিটাও হাতছাড়া। এখনো সুখবর নেই তার জন্য। 

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করলে বাঁচতে পারেন তিনি। আর তাতে যে টাকার প্রয়োজন তা যোগান দেয়ার সাধ্য নেই মুকুলের। তবে ছোট্ট দুটি মেয়ের জন্য হলেও পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকতে চান মুকুল। মানবিক ও বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে হয়তো পূরণ হবে তার সেই আশা। 

সালাহ উদ্দিন কাদের মুকুল ময়মনসিংহ নগরীর পুলিশ লাইন্সের কাশর বউ বাজার এলাকার বাসিন্দা প্রয়াত এবিএম সিদ্দিকের ছেলে। শিক্ষাজীবন শেষ করে ২০০৬ সালে ব্যাংকে চাকরি শুরু করেন তিনি। কিছু দিন চাকরি করার পর ওই বছরই তার শরীরে ধরা পড়ে দুরারোগ্য ব্যাধি লিভার সিরোসিস। সেই থেকে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে লড়ে যাচ্ছেন অসুস্থতার সঙ্গে। চাকরিও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্ত ২০১৯ সালে চাকরি ছাড়তে হয় তাকে। অনেকবার ভারতের হায়দ্রাবাদের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিতে চিকিৎসা করিয়েছেন। 

নিজের সাধ্য না থাকায় বন্ধুদের সহায়তায় ২০১৯ সালের অক্টোবরে এবং ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লির মেডান্টা হাসপাতালে ডা. এ এস সইন এবং ডা. নরমাডা পি গুপ্তর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আর্থিক অসঙ্গতির কারণে তার পক্ষে পরবর্তীতে আর ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া সম্ভব হয়নি। 

এরপর ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আবারও বন্ধুদের সহযোগিতায় ডাক্তারের কাছে গেলে রিপোর্ট ভালো আসেনি। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে যাওয়ায় তার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা জরুরি হয়ে পড়েছে। লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট, ওষুধ ও অন্যান্য খরচসহ অন্তত ৮০ লাখ টাকা প্রয়োজন মুকুলের। 

সালাহ উদ্দিন কাদের মুকুল বলেন, আমার অসুস্থতার কারণে স্ত্রীকে সিটি করপোরেশনে ৭ হাজার টাকা বেতনে চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছে বন্ধুরা। তাতে কোনো রকম চলছে সংসার। আমার ছোট্ট দুটি মেয়ে রয়েছে। নাফিসা নাওয়াল সিদ্দিকী চতুর্থ শ্রেণিতে ও নুসাইবা নাওয়াল সিদ্দিকী প্রথম শ্রেণিতে পড়ছে। তাদের জন্য বাঁচতে খুব ইচ্ছে হয়। কিন্তু আর্থিক অক্ষমতার কারণে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থায় সকলের সহায়তা ছাড়া আমার চিকিৎসা চালানো সম্ভব নয়।

মুকুলের বাল্যবন্ধু আব্দুল মুহিত রানা বলেন, পরিবারের একমাত্র অবলম্বন ছিল মুকুল। কিন্তু অসুস্থতার জন্য তার চাকরিটা হারাতে হয়েছে। এখন একেবারেই নিঃস্ব অবস্থায় জীবনযাপন করছে সে। আমরা বন্ধুরা মিলে চিকিৎসার ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছি। তার ব্যাপারটি নিয়ে বিত্তবান ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছেও যাচ্ছি নিয়মিত। তবে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। দেশ-বিদেশের মানবিক মানুষের সহযোগিতা পেলে হয়তো তাকে চিকিৎসা করানো সম্ভব হবে৷ 

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম রফিক দুদু বলেন, মুকুল দীর্ঘদিন ধরেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইন্ডিয়া থেকেও চিকিৎসা করে এসেছেন। তার বিষয়টি মেয়র মহোদয়কেও জানানো হয়েছে।

মুকুলকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা
Account Number : 1561510363724, Account Title : Salahuddin Kader, Dutch Bangla Bank Ltd, Mymensingh Branch এবং বিকাশ ও নগদ নম্বর : ০১৭১২৫৮৭৮৯১ (পার্সোনাল)।

আপন দেশ ডটকম/ সবুজ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়