Apan Desh | আপন দেশ

মোটরবাইকাররা বদলে দিয়েছে সৈয়দপুরের দৃশ্যপট

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:৩৭, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

আপডেট: ১৪:৩৮, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

মোটরবাইকাররা বদলে দিয়েছে সৈয়দপুরের দৃশ্যপট

ছবি: আপন দেশ ডটকম

পাল্টে গেছে নীলফামারীর সৈয়দপুরের চিত্র। মোটরসাইকেল চালকদের মাথায় শোভা পাচ্ছে নানা রঙের হেলমেট। সৈয়দপুরে চলছে ট্রাফিক বিভাগের অভিযান ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম। ‘চলেন যদি হেলমেট ছাড়া, মরণ আপনাকে করবে তাড়া’-এ শ্লোগানকে সামনে রেখে  গত তিন মাসে ধরে সচেতনতামুলক কাজ করছেন। ফলে হেলমেট ব্যবহারের সংখ্যা বাড়ছে।

একই সঙ্গে প্রয়োগ করছে আইনি বিধান। বিভিন্ন ধারায় মামলাসহ জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। অভিযান, মামলা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমের ফলে চলমান থাকায় পাল্টে গেছে সৈয়দপুরের চিত্র। এখন শতকরা ৯৫ ভাগ মোটরসাইকেল চালকের মাথায় হেলমেট শোভা পাচ্ছে। 

অভিযান প্রসঙ্গে নীলফামারী জেলা ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযানের ফলে মোটরসাইকেল চালকদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে।

মোটরসাইকেল জনিত দুর্ঘটনারোধে হেলমেট ব্যবহার সচেতনতা ও একই বাইকে তিনজন ওঠা বন্ধসহ রেজিস্ট্রেশন, হেলমেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা এবং ট্রাফিক আইনের অন্যান্য ধারায় বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ট্রাফিক বিভাগ ১ হাজার ৭২১ মামলা করে। গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারী পর্যন্ত তিন মাসে ৬৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

ট্রাফিক বিভাগ সূত্র জানায়, অভিযানে গত জানুয়ারি মাসে ট্রাফিক আইনে বিভিন্ন ধারায় ৬২৪টি মামলায় ২৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা আদায় করে। এর আগে ডিসেম্বর মাসে ৫৩৫টি মামলায় ২০ লাখ ৯৩ হাজার টাকা ও নভেম্বর মাসে ৫৬২টি মামলায় ২১ লাখ ২৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে।

নীলফামারী জেলা ট্রাফিক বিভাগের শহর ও যানবাহন পরিদর্শক আবু নাহিদ পারভেজ চৌধুরীর নেতৃত্বে এসব অভিযান পরিচালনা করছেন ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. আশরাফ কোরায়শী ও সাদেকুর রহমান সুজনসহ শহর ও যানবাহন উপপরিদর্শক আব্দুল খালেক, মমিনুল ইসলামসহ অন্যরা। এখন বেশিরভাগ মোটরসাইকেল চালকের মাথায় দেখা যাচ্ছে হেলমেট। বৃহস্পতিবার উপজেলার বঙ্গবন্ধু চত্বরের পাঁচমাথা মোড় ও বাসটার্মিনাল চত্বরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

বঙ্গবন্ধু চত্বরে কথা হয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জাহিদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি আপন দেশকে বলেন, মোটরসাইকেল চালানোর সময় মাথা হেলমেট ব্যবহার খুবই জরুরি। এতে নিজের নিরাপত্তার পাশাপাশি পরিবারও চিন্তামুক্ত থাকে। তাই তিনি মোটরসাইকেল চালানোর সময় হেলমেট ব্যহার করে থাকেন।

ট্রাফিক বক্সের সামনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, মামলা হওয়ার চেয়ে হেলমেট পরা জরুরি। তাই বুধবার তিনি শো-রুম থেকে হেলমেট কিনে ব্যবহার করা শুরু করেছেন। এখন থেকে তিনি নিয়মিত হেলমেট ব্যবহার করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

ট্রাফিক সার্জেন্ট আশরাফ কোরায়শী বলেন, ট্রাফিক বিভাগ যানবাহন চালকদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিসহ শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। তিনি সবাইকে ট্রাফিক আইন মেনে চলার আহ্বান জানান।

জানতে চাইলে ট্রাফিক বিভাগের শহর  যানবাহন পরিদর্শক আবু নাহিদ পারভেজ চৌধুরী বলেন, তাদের এ অভিযান মোটরসাইকেল চালক ও মালিকদের সচেতন করার জন্য। তারা হেলমেট পড়ে মোটরসাইকেল চালালে নিজেও নিরাপদ থাকবেন, পরিবারও চিন্তামুক্ত থাকবে।

তিনি বলেন, শহরে যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক সদস্যরা কঠোর পরিশ্রম করার পাশাপাশি অভিযানও পরিচালনা করছেন। এতে ট্রাফিক বিভাগ সাফল্য পাচ্ছে। অভিযান শুরুর পর মানুষজনের মাঝে সচেতনতা ও ফিরে এসেছে। এখন গড়ে ৯৫ জন মোটরসাইকেল চালকের মাথায় শোভা পাচ্ছে হেলমেট। তিনি সবাইকে ট্রাফিক আইন মেনে চলার ও হেলমেট ব্যবহার করার আহ্বান জানান।

আপন দেশ ডটকম/ এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়