Apan Desh | আপন দেশ

লক্ষ্মীপুরে আ. লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১৫, আটক ১৫

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:০১, ৯ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ১২:১০, ৯ মার্চ ২০২৩

লক্ষ্মীপুরে আ. লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১৫, আটক ১৫

ছবি : সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিকে কেন্দ্র করে দু-পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে তিন পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

তিন পুলিশসহ পাঁচ জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

পুলিশের তিন সদস্য হলেন, উপ-পরিদর্শক আবদুর রহিম, জাকির হোসেন ও কনস্টেবল মোজাম্মেল হোসেন। 

এই ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শিপন খলিফা, ইব্রাহিম খলিল, ছাত্রলীগ নেতা এম সজিব, রিয়াজ হোসেন ও ইদ্রিস হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় চন্দ্রগঞ্জ বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কামাল হোসেন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী সোলাইমান-লিটন গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে বাজারে দু-পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, ৩ মার্চ চন্দ্রগঞ্জ থানায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়। এই প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক করা হয় কামাল হোসেনকে। এই কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় চন্দ্রগঞ্জ বাজারে আফজাল রোডের মুখে একটি আনন্দ মিছিল বের করে কামাল হোসেন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন পক্ষের লোকজন।

এর আগে এই প্রস্তুতি কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে বাজারের নিউ মার্কেটের সামনে প্রতিবাদ সভা ও মিছিল করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দাবিদার কাজী সোলাইমান ও লিটন পক্ষের লোকজন।

এর জের ধরে কাজী সোলাইমান ও লিটন গ্রুপের লোকজন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কামাল হোসেন গ্রুপের ওপর হামলা করে। এ নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবদুর রহিম, জাকির হোসেন ও কনস্টেবল মোজাম্মেল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা শিপন খলিফা, ছাত্রলীগ নেতা এম সজিব, রাসেল হোসেন, রাজু আহেমদ, সুমন হোসেন ও রাজিব হোসেনসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লার্টিচার্জ করে। বাজারে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে কাজী সোলাইমান ও লিটন নিজেদের চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক দাবী করে বলেন, কমিটি বাতিল না করে গোপনে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা দলীয় গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। এই কমিটি কোনো নেতা-কর্মী মেনে নেননি এবং নিবেন না। এর প্রতিবাদে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ও কামাল হোসেন পরিকল্পিতভাবে নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেছেন।

অপরদিকে প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কামাল হোসেন বলেন, বিনা উস্কানিতে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আনন্দ মিছিলে কাজী সোলাইমান ও লিটনের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আহত করেছেন।

চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া আর কোনো কমিটি নেই। কেউ কমিটি দাবী করলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, কমিটি নিয়ে দু-পক্ষের সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ আহত হয়েছেন ১৫ জন। এ ঘটনায় ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাজারে কেউ আইনশৃংখলা অবনতির চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আপন দেশ/আরএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়