Apan Desh | আপন দেশ

সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি-ধমকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক : তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশিত: ১৬:০৫, ১৮ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ১০:২১, ১৯ মার্চ ২০২৩

সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি-ধমকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক : তথ্যমন্ত্রী

ছবি : আপন দেশ ডটকম

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি-ধমকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক। এগুলোতে এখন হনুমানও ভেংচি কাটে।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের একমাস পর থেকেই বিএনপি আমাদের সরকার পতনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বহুবার সরকারকে টেনে নামাতে  চেষ্টা করে বিএনপিই জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে, তারাই দড়ি ছিঁড়ে পড়ে গেছে।

শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া মৌসুমী আবাসিক এলাকায় আরসিসি ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন মন্ত্রী। এরপর সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘বিএনপির বিজয় সুনিশ্চিত আওয়ামী লীগের পতন দ্রুত’ এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ সব কথা বলেন।

হাছান বলেন, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে তারাই ঘি ঢেলেছিল। বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে বিএনপি এবং বিএনপিনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সংশ্লিষ্টতা ছিল। বিডিআর বিদ্রোহ যেদিন হয়, সেদিন প্রত্যূষে বেগম জিয়া ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন এবং তারেক জিয়ার সঙ্গে বহুবার কথা বলেছিলেন। সেই রেকর্ড আমাদের কাছে আছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার ক্ষমতায় থাকবে কি থাকবে না, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে কি করবে না, সেই সময় দেয়া না দেয়ার মালিক হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণ দেশ পরিচালনার জন্য গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব দিয়েছেন। সেজন্যই তিনি দেশ পরিচালনা করছেন।

সাংবাদিকরা এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জালিয়াতি ও ডাকাতি করেছে বলে মির্জা ফখরুলের অভিযোগ বিষয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে যত কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটেছে সবকিছুই বিএনপি ঘটিয়েছে। তারা ইতোপূর্বে প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মেরেছিল। এবার ঢাকা বারের নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে জয়লাভের কোনো আশা নেই বুঝেই তারা প্রথমে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়, এরপর নির্বাচনী কার্যক্রমকে ভণ্ডুল করার জন্য ব্যালট ছিনতাই ও নির্বাচনী প্যান্ডেলসহ সব স্থাপনা ভাঙচুর করে।

২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে যেভাবে তারা নির্বাচনী কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছিল, ঠিক সেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এখন সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে গেছে বিএনপি- এ জন্য তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন, বলেন সম্প্রচারমন্ত্রী। 

এর আগে আরসিসি ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প উদ্বোধনকালে চট্টগ্রাম ৭ আসনের সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরাসনের জন্য এক দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ বরাদ্দ দিয়েছেন। এটি ঢাকা শহরের জন্যও দেওয়া হয়নি। এই প্রকল্পের কাজ চলছে, আশা করি আগামী মৌসুমে আগের তো জলাবদ্ধতা আর হবে না।

শহরের পরিচ্ছন্নতা ও নর্দমা সচল রাখা নিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শহরের পৌনে এক কোটি মানুষ মিলে শহর ময়লা করলে সিটি করপোরেশনের চার হাজার কর্মীর পক্ষেও তা পরিষ্কার রাখা সম্ভব না। আর পলিথিন ও বাসাবাড়ির ময়লা না ফেললে ড্রেন সচল থাকবে। 

১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ শহিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর শাহীন আক্তার রোজী।

আপন দেশ/আরএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়