হলের ছাদে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ছাদ থেকে আপরশি মারমা (২১) নামে এক আবাসিক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

সোমবার (২০ মার্চ) রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক উকিল আবাসিক হলের ছাদে তার মরদেহ দেখার পর প্রশাসনকে খবর দেন শিক্ষার্থীরা।

আপরশি মারমা সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং তার গ্রামের বাড়ি বান্দরবান জেলায়। তিনি আবদুস সালাম হলের ২১২ নম্বর রুমের বসবাস করতেন।

মঙ্গলবার  (২১ মার্চ) সকালে মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। 

একাধিক শিক্ষার্থী জানান, রাত ১১টার দিকে মারমার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। 

আপরশি আত্মহত্যা করেছেন নাকি অন্য কোনো কারণে মারা গেছেন প্রাথমিকভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ঝুলন্ত অবস্থায় তার পায়ের জুতা এবং চশমা ঠিক জায়গায় ছিল বলে জানান প্রতক্ষ্যদর্শীরা। বিষয়টি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

আপরশি মারমার কক্ষে থাকেন নিজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, আপরশি মারমা প্রায়ই মালেক উকিল হলে খাবার খেতে যেতেন। সেখানে তার বন্ধু ও বড়ভাইদের সঙ্গে সময় কাটাতেন। 

সুধারাম থানার এএসআই মো. নাজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘রোববারও সে আমার ক্লাস করেছে। বিকেলের দিকে খেলার মাঠে ছিল। তাকে আমি খুব স্বাভাবিক দেখেছি। কোনো কারণে তাকে আমার হতাশাগ্রস্ত মনে হয়নি। হঠাৎ কেন এমন ঘটনা ঘটলো সেটাতো এখন বলা যাচ্ছে না। এটি তদন্ত সাপেক্ষ ব্যাপার।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি প্রক্টর মো. ইকবাল হোসাইন সুমন বলেন, খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি এবং তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। ঘটনাস্থলে পুলিশের স্পেশাল টিম, পিবিআইয়ের টিম এসেছে। সুরতহালের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হবে।

আপন দেশ/আরএ