Apan Desh | আপন দেশ

ঢাবি অধ্যাপকের প্রবন্ধের অর্ধেক চুরির, তদন্ত কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০:৩৪, ৩১ মে ২০২৩

আপডেট: ১১:৪৩, ৩১ মে ২০২৩

ঢাবি অধ্যাপকের প্রবন্ধের অর্ধেক চুরির, তদন্ত কমিটি

ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রেবেকা সুলতানার লেখা ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা’ শীর্ষক প্রবন্ধে ৫৩ শতাংশ চুরির প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। বিষয়টি অধিকতর তদন্তের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্তগ্রহণকারী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

অধ্যাপক রেবেকা সুলতানা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের নাজমুল করিম স্টাডি সেন্টারের জার্নাল অব সোশিওলজির (সমাজবিজ্ঞান পত্রিকা) একাদশতম ভলিউমের ২য় সংখ্যায় (২০২০ সালের জুলাই-ডিসেম্বরে প্রকাশিত) এই প্রবন্ধটি লিখেছিলেন।

গত বছরের ৬ নভেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ, উপাচার্য ও নাজমুল করিম স্টাডি সেন্টারের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের কাছে এক চিঠিতে চুরির বিষয়টি তদন্ত ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।

চিঠিতে অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ উল্লেখ করেন, তার জানা মতে উল্লিখিত প্রবন্ধে কমপক্ষে ৫৩ শতাংশ রেবেকা সুলতানা চুরি করেছেন। এর মধ্যে আকবর আলী খান রচিত ‘অবাক বাংলাদেশ: বিচিত্র ছলনা জালে রাজনীতি’ (প্রথমা ২০১৭) বইয়ের ১৪২, ১৫৫-১৬০ পৃষ্ঠা থেকে; বদরুল আলম খান রচিত (প্রথমা ২০১৭) ‘গণতন্ত্রের বিশ্বরূপ ও বাংলাদেশ’ বইয়ের ১১৫ পৃষ্ঠা; বদিউল আলম মজুমদারের (আগামী প্রকাশনী ২০১৫) ‘রাজনীতি, দুর্নীতি ও নির্বাচন’ বইয়ের ৪৬ পৃষ্ঠা; আবুল কাসেম ফজলুল হকের লেখা ‘অবক্ষয় ও উত্তরণ’ কথা (প্রকাশ ২০০৯) বইয়ের ৫৪ ও ৬৩ পৃষ্ঠা থেকে চুরি করেছেন।

জানা যায়, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়। তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে চুরির সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় সিন্ডিকেট থেকে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া কাউকে কিছু না জানিয়ে বিদেশে অনেক দিন অবস্থানের কারণে ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ক্ষণিকা গোঁপকে শাস্তিদানে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। সভায় গ্রেড-৯ সমমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসারসহ পদগুলোর নিয়োগে অভিজ্ঞতা বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর আগে এই পদে আবেদন করতে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হতো।’   

এ বিষয়ে অধ্যাপক রেবেকা সুলতানার মন্তব্য জানা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও প্রকাশনায় স্বচ্ছতা ও নৈতিকতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রণীত ‘প্লেজিয়ারিজম’ নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

আপন দেশ/আরএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ