ফাইল ছবি
মিয়ানমারে টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২৬ জন হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও ৭৭ জন।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যায় প্রায় দুই লাখ ৬০ হাজার হেক্টর জমির ধান এবং অন্যান্য ফসল নষ্ট হয়েছে। বন্যার কারণে ৩ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে হয়েছে।
চলতি বছরে এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ছিল ইয়াগি। এ মাসের শুরুর দিকে ভিয়েতনাম, লাওস, চীন এবং ফিলিপাইনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় এ সুপার টাইফুন।
মিয়ানমারে প্রবেশেই আগেই ইয়াগির আঘাতে অন্তত ২৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। টাইফুনটি উত্তর ভিয়েতনামে প্রবেশ করার পর একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় নিম্নচাপে পরিণত হয়। তবে এর প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়ে প্রবল বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধস অব্যাহত রয়েছে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশটিতে অন্তত ৩৭৫টি স্কুল, একটি মঠসহ প্রায় ৬৬ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। বন্যায় ভেসে গেছে কয়েক মাইল রাস্তা এবং অন্যান্য অবকাঠামো।
টাইফুনটি উত্তর ভিয়েতনামে প্রবেশ করার পর একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় নিম্নচাপে পরিণত হয়। তবে এর প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়ে প্রবল বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধস অব্যাহত রয়েছে।
আপন দেশ/মাসুম
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।