Apan Desh | আপন দেশ

পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ন্যায়সঙ্গত : জো বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৫১, ১৮ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ১২:৪৫, ১৮ মার্চ ২০২৩

পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ন্যায়সঙ্গত : জো বাইডেন

ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে স্পষ্টভাবে যুদ্ধাপরাধ করেছেন বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তিনি বলেছেন, পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানা ন্যায়সঙ্গত।

বাইডেন গত শুক্রবার (১৭ মার্চ) সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আইসিসি পুতিনের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী মামলা করেছে। তিনি স্পষ্টতই যুদ্ধাপরাধ করেছেন। আমি মনে করি এটি ন্যায়সঙ্গত।’

বাইডেন আরো বলেন, ‘আইসিসি আমাদের দ্বারাও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয়। তবে, আমি মনে করি এটি খুব শক্তিশালী পয়েন্ট তৈরি করেছে।’

এর আগে গত শুক্রবার ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কোর ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর ইউক্রেনের অধিকৃত এলাকা থেকে শিশুদের বেআইনি নির্বাসনে এবং রাশিয়ায় স্থানান্তরের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে পুতিনকে গ্রেফতারের আহ্বান জানায় আইসিসি।

একই অভিযোগে রাশিয়ার শিশু অধিকারবিষয়ক কমিশনার মারিয়া লভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধেও আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

আইসিসি এখন ওই গ্রেফতারি পরোয়ানা আদালতের সদস্যভুক্ত ১২৩ রাষ্ট্রকে পাঠিয়ে আবেদন জানাবে যে, পুতিন যদি তাদের ভূখণ্ডে পা রাখে তবে তাকে যেন বিচারের জন্য হেগে স্থানান্তর করা হয়।

ক্রেমলিন বলেছে যে, পুতিনের বিরুদ্ধে আদালতের অভিযোগ রাশিয়ার জন্য আপত্তিকর এবং অর্থহীন।

গত মাসে ইয়েল ইউনিভার্সিটির গবেষকদের দ্বারা যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয় যে, রাশিয়া একটি বড় আকারের পদ্ধতিগত নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে কমপক্ষে ৪৩টি ক্যাম্প এবং অন্যান্য স্থাপনাগুলোতে কমপক্ষে ছয় হাজার ইউক্রেনীয় শিশুকে আটকে রেখেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র এক ইমেল বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ করেছে এবং যুদ্ধাপরাধীদের জন্য জবাবদিহিতা সমর্থন করে ওয়াশিংটন।

ওই মুখপাত্র আরো বলেছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ ও নৃশংসতা করছে এবং আমরা স্পষ্ট বলেছি যে, দায়ীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।’

আইসিসির প্রেসিডেন্ট পিওর হফম্যানস্কি এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, আদালতের বিচারকরা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেও তা কার্যকর করার বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর নির্ভর করবে। কারণ, আদালতের নিজস্ব কোনো পুলিশ বাহিনী নেই।

আপন দেশ/আরএ

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়