প্রতীকী ছবি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বিশ্বে প্রতিটি মানুষের মধ্যে বাড়ছে একাকিত্ব বা নিঃসঙ্গতা। সংস্থাটি বলছে, একা থাকার প্রবণতা বর্তমান মানুষের জীবন এমন নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে যে নিঃসঙ্গতা হয়ে উঠেছে বিশ্বব্যাপী এক ধরনের স্বাস্থ্য হুমকি।
এ একাকিত্বকে শারীরিক ও মানসিক অবস্থার অবনতির অন্যতম কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে। দিন দিন এ সমস্যা বেড়েই চলেছে বলে সংস্থাটি সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
একটি সমীক্ষা পর্যবেক্ষণ করার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা খুঁজে পেয়েছে একাকিত্ব থেকেই ডিপ্রেশন, উত্তেজনা, ভয় লাগার প্রবণতা, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডিমনেশিয়া এমনকি আত্মহত্যার পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে মানুষের মধ্যে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালিত এ নতুন সমীক্ষাটির নাম ‘আওয়ার ইপিডেমিক অব লনলিনেস এন্ড আইসোলেশন’। এ রিপোর্টের প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, একাকিত্ব শুধু একজন মানুষের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার অবনতির কারণ নয়, এটি সামাজিক স্বাস্থ্যের অবনতিরও মূল কারণ।
আরও পড়ুন <> শীতে পায়ের গোড়ালি কোমল রাখতে করণীয়
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একাকিত্বর ফল এমনই ভয়াবহ যে একদিনে ১৫টি সিগারেট খাওয়ার সমান ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে মানুষের শরীর ও মনে। এর ফল শুধু বাড়িতে নয়, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস, রাজনীতিসহ সবখানেই ছড়িয়ে পড়েছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে মানুষের উৎপাদনশীল কার্যক্রমেও।
এদিকে আমেরিকান গ্লোবাল বিজনেস ম্যাগাজিন ফরচুন বলছে, খুব শিগগিরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সামাজিক সংযোগের ওপর একটি কমিশন চালু করবে। যেটি সামাজিক বিচ্ছিন্নতার স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং কার্যকর সমাধান খোঁজার জন্য কাজ করবে। বিবেক মূর্তি ও চিডো এমপেম্বার নেতৃত্বে এ গবেষণা চলবে।
বর্তমানে ধারণা হচ্ছে, বিশ্বের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ নিঃসঙ্গতা বা একাকিত্বে ভুগছেন। বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের এ হুমকি বাঁচতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরামর্শ দিচ্ছে, ভার্চুয়াল জগত থেকে সামাজিকভাবে বেশি যুক্ত থাকার। তাহলেই একা থাকার ভয়ঙ্কর পরিণতির ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে পারবে বিশ্ববাসী।
আপন দেশ/আরএ