সংগৃহীত ছবি
হাই ব্লাড প্রেশার রোগ যে খারাপ এটা সুস্থ বা অসুস্থ সবারই জানা। আর জানার পরও এ রোগেই এখন অনেকে আক্রান্ত। হাই ব্লাড প্রেশার রোগ হলে শরীরে অনেক গুরুতর সমস্যা তৈরি হতে পারে। সেক্ষেত্রে কিছু খাবারকে আপনার শত্রু মনে করতেই হবে। বিশেষজ্ঞরা এমনই বলছেন।
আমাদের রক্তনালীর ভেতর থেকে রক্ত প্রবাহের সময় ভেতরের দেয়ালে একটা চাপ তৈরি করে। এর নামই ব্লাড প্রেশার। ব্লাড প্রেশার সবারই রয়েছে। তবে তা স্বাভাবিকের থেকে বেশি হলে সমস্যা তৈরি হয়ে যায়। আবার কম হলেও সমস্যা। বাড়িতে প্রেশার মাপা উচিত নির্দিষ্ট বয়স বাদে।
ব্লাড প্রেশার বাড়লে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা যেতে পারে। রক্তনালীর সমস্যা তৈরি হয়ে যায় প্রেশার বেড়ে। স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে। তাই প্রতিটি মানুষকে সতর্ক হতে হবে।
চিকিৎসকদের মতে, প্রেশার উঠানাম করতে থাকলে আপনাকে সতর্ক হয়ে যেতেই হবে। কারণ এই অসুখ থেকে অনেক গুরুতর কিছু রোগ দেখা যেতে পারে। খাবারের বেলায় আপনাকে অনেক সতর্ক হতে হবে। প্রেশার বাড়ায় যে খাবারগুলো তা পরিহার করতে হবে।
ব্লাড প্রেশার অস্বাভাবিক থাকলে যে পাঁচ খাবার আপনার জন্য শত্রু-
১) চিপস জাতীয় খাবার: কোথাও ঘুরতে বের হলে অনেকেই চিপসের প্যাকেট সঙ্গে রাখেন। যারা হাই প্রেশারের রোগী তারা ভুলেও এই চিপস খাবেন না। এতে রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে লবণ। আর লবণ শরীরে পানি ধরে রাখে এবং প্রেশার বাড়ায়। এমনকী ডায়াবেটিস থাকলেও চিপস খাওয়া উচিত নয়।
২) চাউমিন বা অন্যান্য চাইনিজ খাবার: চাইনিজ খাবার অবশ্যই এড়িয়ে যেতে হবে। বিষয়টি মাথায় রাখা দরকার যে চাইনিজ খাবারে অনেক সময় দেয়া থাকে আজিনামোটো। এই উপাদান শরীরের জন্য চরম ক্ষতিকর। এ ছাড়া এখানকার চাইনিজ খাবার কিন্তু লবণে ভরপুর। তাই বিষয়টি ভুলে গেলেই বিপদ।
৩) বিরিয়ানি খেলেও বাড়বে প্রেশার: আসলে প্রেশার বাড়লে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা থাকতে পারে। এবার মাথায় রাখতে হবে বিরিয়ানি খেলেও এ সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই সতর্ক হয়ে যাওয়া হলো খুবই জরুরি। কারণ বিরিয়ানিতে রয়েছে তেল ও লবণের প্রাচুর্য। এটা প্রেশারের জন্য খুবই খারাপ।
৪) চানাচুরকে ‘না’ বলুন: অনেকে চানাচুর খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু যাদের ব্লাড প্রেশার হাই তাদের চানাচুর খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। চানাচুর খেলে অনেক সময় শরীর খারাপ হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে চানাচুরের লবণ হলো যত নষ্টের মূল। তাই চানাচুর নিয়ে প্রেশার রোগীকে অবশ্যই সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
৫) আচার: ব্লাড প্রেশার রোগীদের আচার খাওয়া উচিত নয়। রাস্তায় বেরিয়ে অনেকেই আচারের দোকানে ঢুকে পড়েন। প্রেশারের রোগীদের এবার আচার খাওয়ার সময় অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। কারণ আচারে রয়েছে লবণ।
আপন দেশ ডটকম/ আবা
(প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।)