Apan Desh | আপন দেশ

গুণের আধার কালোজিরা

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:১১, ৫ অক্টোবর ২০২২

গুণের আধার কালোজিরা

ছবি-সংগৃহীত

রান্নাঘরের দরকারি একটি মসলা কালোজিরা। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবেও কালোজিরা বেশ জনপ্রিয়। কালোজিরাতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট নানা রোগের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে। জ্বর, সর্দি, গায়ে ব্যথায় কালোজিরা যথেষ্ট উপকারি।

প্রায় দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষ খাবারের সঙ্গে কালোজিরা গ্রহণ করে আসছে। কালোজিরার তেলও আমাদের শরীরের জন্য নানাভাবে উপকারি।
এতে আছে প্রায় ২১ শতাংশ আমিষ, ৩৮ শতাংশ শর্করা এবং ৩৫ শতাংশ ভেষজ তেল ও চর্বি।

গবেষণা বলছে কালোজিরার সবচেয়ে বড় গুণ ওজন কমাতে। সঠিক নিয়মে ও পরিমিত পরিমাণে কালোজিরা খেলে ওজন কমে যায়।

আসুন জেনে নেই নানা সমস্যায় কালোজিরার উপকারিতা সম্পর্কে—
১. কালোজিরার তেল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
২. কালোজিরায় থাকা অ্যান্টিমাইক্রোরিয়াল এজেন্ট শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংস করে। এ উপাদানের জন্য শরীরে সহজে ঘা, ফোড়া, সংক্রামক রোগ হতে পারে না।
৩. এতে রয়েছে ক্ষুধা বাড়ানোর উপাদান। পেটের যাবতীয় রোগ-জীবাণু ও গ্যাস দূর করে ক্ষুধা বাড়ায়। যারা মোটা হতে চান, তাদের জন্য কালোজিরা উপকারী পথ্য।
৪. চুল পড়া কমাতে ও ত্বকের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে কালোজিরার তেলের তুলনা হয় না।
৫. দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালোজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে। জিহ্বা, তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে।
৬. মাথাব্যথায় কপালে উভয় চিবুকে ও কানের পার্শ্ববর্তী স্থানে দৈনিক তিন-চার বার কালোজিরার তেল মালিশ করুন। তিন দিন খালি পেটে চা চামচে এক চামচ করে তেল পান করুন উপকার পাবেন।
৭. কালোজিরা চুর্ণ ও অলিভ অয়েল, ৫০ গ্রাম হেলেঞ্চার রস ও ২০০ গ্রাম খাঁটি মধু একসঙ্গে মিশিয়ে সকালে খাবারের পর এক চামুচ করে খান। এতে যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
৮. লেবু দিয়ে সব মাথার খুলি ভালোভাবে ঘষুণ। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ও ভালোভাবে মাথা মুছে ফেলুন। তার পর মাথার চুল ভালোভাবে শুকানোর পর সম্পূর্ণ মাথার খুলিতে কালোজিরার তেল মালিশ করুন। এতে এক সপ্তাহেই চুলপড়া কমে যাবে।
৯. বুকে ও পিঠে কালোজিরার তেল মালিশ করুন। এ ক্ষেত্রে হাঁপানিতে উপকারী অন্যান্য মালিশের সঙ্গে এটি মিশিয়েও নেওয়া যেতে পারে।
১০. এক চামচ মধুতে একটু কালোজিরা দিয়ে খেয়ে ফেলুন। এতে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। হালকা উষ্ণ পানিতে কালোজিরা মিলিয়ে ৪৫ দিনের মতো খেলে অ্যাজমার সমস্যার উন্নতি ঘটে।
১১. কালোজিরার চূর্ণ ও ডালিমের খোসা চূর্ণ মিশ্রণ এবং কালোজিরার তেল ডায়াবেটিসে উপকারী।
১২. চায়ের সঙ্গে নিয়মিত কালোজিরা মিশিয়ে অথবা এর তেল মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার হয়, তেমনি মেদ কমে যায়।
১৩. এক কাপ দুধ ও এক টেবিল চামচ কালোজিরার তেল দৈনিক তিনবার পাঁচ-সাত দিন সেবন করতে হবে। এতে গ্যাস্টিক কমে যাবে।
১৪. রাতে ঘুমানোর আগে চোখের উভয়পাশে ও ভুরুতে কালোজিরার তেল মালিশ করুন। এক কাপ গাজরের রসের সঙ্গে এক মাস কালোজিরা তেল সেবন করুন।
১৫. যখনই গরম পানীয় বা চা পান করবেন, তখনই কালোজিরা খাবেন। গরম খাদ্য বা ভাত খাওয়ার সময় কালোজিরার ভর্তা খান রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে। এ ছাড়া কালোজিরা, নিম ও রসুনের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করুন। এটি দুই-তিন দিন পরপর করা যায়।
১৬. সকাল-সন্ধ্যায় লেবুর রসের সঙ্গে এক টেবিল চামচ কালোজিরা তেল পান করুন। আর কালোজিরার নস্যি গ্রহণ করুন।
১৭. প্রসব ও ভ্রুণ সংরক্ষণে কালোজিরা মৌরী ও মধু দৈনিক চার বার খান।
১৮. অলিভ অয়েল ও কালোজিরা তেল মিশিয়ে মুখে মেখে এক ঘণ্টা পর সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলন।
১৯. পিঠে ও অন্যান্য বাতের ব্যথায় কালোজিরার তেল মালিশ করুন। এ ছাড়া মধুসহ প্রতিদিন সকালে কালোজিরা সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

 

আপন দেশ ডটকম/আরইউ

শেয়ার করুনঃ