ফাইল ছবি
আগ্নেয়গিরি তিন প্রকার। মৃত ও জীবন্ত, সুপ্ত।
কোনটা যে কীরকম, কার কিবা প্রকৃতি ক্ষমতা
আমাদের জানা আছে ভালো।
যদিও গাঙ্গেয় বদ্বীপে কোনো
অগ্নিগিরি নেই,
ছিল কোনো কালে
ইতিহাস এরকম
সাক্ষ্য দেয় না, ভাই।
একুশে, আগ্নেয়গিরি বটে। তারও চেয়ে ভয়ঙ্কর,
মৃত নয়,পরিত্যক্ত নয়
জ্বলন্ত জাগর ছিল এক কালে
প্রয়োজন যখন যেমন ছিলÑ
এখন সে সুপ্তিতে মগন
পুনর্বার জ্বলে উঠতে পারে
কারণ একুশে এই শব্দটুকু প্রাণের প্রতীক
প্রজ্বলিত বিদ্রোহের নাম
অত্যাশ্চর্য ক্রোধে টলোমল...
চিন্তার বাগানে দেখি জ্বলছে আগুন। নেভানোর
কেউ নাই। দর্শকের ভূমিকায় অনেকেই আছে
পুড়ে যাচ্ছে, পুড়তে থাক, ক্ষতিবৃদ্ধি নাই
আমি যেন নিরাপদে থাকি শুধু সেটুকুই চাই
আগুনের অন্য নাম সর্বভুক, এইকথা
সানন্দে বিস্মৃত হই যারপরনাই
আমাকেও অগ্নি এসে পুড়িয়ে নিঃশেষ ছাই
করতে পারে এই শঙ্কা আছে টের পাই।
থাকলে থাকুক। সর্ষের মধ্যেই থাকে আস্তানা ভূতের
কবিতাশরীরে কোনো জড়তা বা ক্লেদ নাই
আমরা জানি স্বচ্ছতোয়া নদীই কবিতা,
এই কথা মর্মে মর্মে উপলব্ধ
কবিরও সম্পূর্ণ জানা চাই
প্রতীক্ষা-পাথরে ঘষছি রক্তাক্ত জীবন
হারানো শৈশব থেকে
আবছা কিছু স্মৃতিফোঁটা
শেষবেলায় যদি খুঁজে পাই
রৌদ্রমাতলা দিন যদি আসে
উৎকণ্ঠার মাঝে থাকো
অবসান যদি হয়
নিঃস্ব হয়ে পড়বে তুমি
বিশ্ব হবে শত্রুবৎ
এমন কাঙালপনা তোমাকে মানায়?
কবে আসবে ভালোবাসবে
চূর্ণিত চিকুরগুচ্ছে
আলো ফেলবে
মুগ্ধ কণ্ঠ কয়ে উঠবে
মোহিনী সুন্দর
এমন রোদেলা দিন
আসবে হয়তো কোনোদিন
তখন তোমার পাপ সমুদয় ঋণ
চুকিয়ে বুকিয়ে নিয়ো
অতএব একজন্ম অপেক্ষায় থাকো।
নিষ্কন্টক মালিকানা
মনোজমি দিয়েছি তোমাকে
চির জনমের জন্যে
সাফ কবলা হয় না তার
সাক্ষী ও সাবুদ কিছু প্রয়োজন নাই
সে জমিতে চাষ করো যেটা ইচ্ছে
মিলন অথবা চির বিচ্ছেদের বিষ
চাষবাস একান্তই
তোমার একক ইচ্ছা
নিরঙ্কুশ এখতিয়ারও বটে!
দাও দুঃখ স্থূল সূক্ষ্ম
দাও দাহ বিরহ প্রবাহ
ভেঙেচুরে তছনছ করো মন
বহাও প্লাবন
কিংবা আনো খরা
ঈপ্সিত যে তাকে ছিঁড়েখুঁড়ে
তৈরি করো মড়া
তারপর ভেলায় ভাসাও
সেই দৃশ্য দেখতে দেখতে
নৃশংস বৃত্তিকে করো চরিতার্থ
পাশবিক জিঘাংসা মেটাও।
# # #
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।