
ছবি: সংগৃহীত
সুপ্রিম কোর্টে দায়িত্বপালনরত সাংবাদিকদের উপর পুলিশী হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে সাংবাদিকরা বিক্ষোভ করেছে বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে নগরীর কদমফুল ফোয়ারা, তোপখানা রোড এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে প্রেস ক্লাবে এসে প্রতিবাদ সমাবেশে করে।
সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা বলেন, নির্যাতিত নাগরিকরা সুপ্রিমকোর্টে গিয়ে আশ্রয় চায়। আজ সুপ্রিম কোর্টও নিরাপদ নয়। সেখানে সাংবাদিকরা নির্বিচারে পেটানো হচ্ছে। আইনজীবীরা মার খাচ্ছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে। সুপ্রিমকোর্ট আর মানুষের ভরসাস্থল থাকছে না। সাংবাদিক আজ অসহায়। সরকার রাষ্ট্রের অঙ্গগুলোকে ধবংস করে দিয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে দেশ পরিচালনায় ব্যর্থতার অভিযোগ এনে পদত্যাগ দাবি করা হয়।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, মানুষের শেষ ভরসাস্থল আদালতেও আজ মানুষের নিরাপত্তা নেই। আদালত পাড়ায় আজ আইনজীবীদের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে। সাংবাদিকদের নির্মমভাবে পেটানো হচ্ছে। বিচারকরা বসে বসে তামাশা দেখছেন,কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।আদালতের যদি এ অবস্থা হয়,মানুষ কার কাছে যাবে? কোথায় বিচার পাবে?
আরেক সাবেক সভাপতি এম এ আজিজ বলেন, স্বাধীন বিচার বিভাগ হল জনগণের মৌলিক অধিকারসমূহ প্রয়োগের শক্তি। অথচ স্বাধীন বিচার বিভাগের অনুপস্থিতিতে আইনের শাসনের পরিবর্তে আমলাতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা শক্তি অর্জন করে চলছে। বিচারের নামে পুলিশি বিচার চলবে কিনা তাই দেখতে হবে। নিশীরাতের সরকারের অধীন পুনরায় সংসদ নির্বাচন করতে দখলদাররা মরিয়া।আসন্ন নির্বাচন কেমন হবে গতকাল জনগন টের পেয়ে গেছে।
আয়োজন সংগঠনের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকরা কোনো পক্ষ নয়, তারা শুধু সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিল। কিন্তু গণমাধ্যম কর্মীদের পরিচয়পত্র এবং মাইক্রোফোন এবং ক্যামেরা থাকা স্বত্তেও তাদের টার্গেট করে এ হামলা চালানো হয়। যা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। সাংবাদিকদের এভাবে পেটাল বিচারপতিরা চেয়ে চেয়ে দেখলেন কিভাব? মনে হলো এটা আদালত পাড়া নয়, একটা টর্চারসেল। বিচারালয়ে এমন অপকর্ম করে অভিযুক্ত পুলিশগুলো চাকরিতে থাকে কি করে?
আপন দেশ/এবি