তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সালমান এফ রহমান ও সজীব আহমেদ ওয়াজেদ।
সরকারের আকার ছোট করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে টেকনো তিনমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর তিন উপদেষ্টাসহ মোট ছয়জন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। রোববার (১৯ নভেম্বর) পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা।
মন্ত্রিসভার তিন টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য নন) সদস্য হলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম।
ওইদিনই প্রধানমন্ত্রীর তিন উপদেষ্টা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। হলেন- অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছয়জন উপদেষ্টা। পদত্যাগের পর বাকি আছে আরও তিন উপদেষ্টা। এদের পদত্যাগের খবর পাওয়া যায়নি। ওই উপদেষ্টাদের মধ্যে রয়েছেন, নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অবঃ) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ।
সোমবার (২০ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যেসব মন্ত্রী ও উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছেন তাদের পত্র গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করে যেতে পারবেন।
বিষয়টি নিয়ে এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে টেকনোক্র্যাট দুইজন মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপদেষ্টা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পদত্যাগপত্র কার্যকর করার পদ্ধতি আছে, সেই প্রক্রিয়াটা তারা শুরু করেছেন। প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলে সেটি (পদত্যাগপত্র) কার্যকর হবে।
পদত্যাগপত্র কবে কার্যকর হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ার পরে।
আরও পড়ুন <<>> তিন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীর পদত্যাগ
প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে সাধারণত কয় দিন লাগে, জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ধরাবাঁধা কোনো আইন নেই যে এত দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। একটি প্রক্রিয়া আছে, যেহেতু অনুমোদন নিতে হবে।
পদত্যাগের পর পদ শূন্য হচ্ছে, নির্বাচনের আগে রুটিন কাজের জন্য হলেও সেই সব পদে কাউকে দায়িত্ব দেয়ার কোনো নির্দেশনা আছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আগে তো তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ হবে, সেটি যখন গেজেট (প্রজ্ঞাপন) হবে, তারপর এই প্রসঙ্গ আসবে। তখন পদ খালি হবে।
সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী যে কোনো সময় যে কোনো মন্ত্রীকে পদত্যাগের অনুরোধ করতে পারবেন।
মন্ত্রীদের পদ শূন্য হওয়ার বিষয়ে সংবিধানে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ছাড়া অন্য কোনো মন্ত্রীর পদ শূন্য হবে, যদি তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র দেন।
আপন দেশ/এমএমজেড/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
