ড. এ কে আবদুল মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, আর একজন রোহিঙ্গাকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে যারা জিরো লাইনে ছিল তারা ঢুকে পড়েছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার জিরো পয়েন্টে যেসব রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছিল, তা এখন আর নেই। কিছু রোহিঙ্গা ঢুকে পড়েছে আমাদের সীমানায়।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে তার লেখা এক বই প্রকাশনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,
এর আগে শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন উন্নয়নকাজ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবেও রোহিঙ্গা নিয়ে তিনি একই কথা বলেছিলেন।
সেদিন বলেছিলেন ‘সম্প্রতি মিয়ানমারে ঝামেলা হওয়ায় কিছু রোহিঙ্গা দেশে প্রবেশ করেছে। যারা প্রবেশ করছে, তাদের ধীরে ধীরে বের করে দেওয়া হবে। আর একজন রোহিঙ্গাকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না।’ ঠিক তার কয়েকদিন পর আজ মঙ্গলবার আবার একই কথা বলেছেন তিনি।
এর আগে সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতেই তাদের সঙ্গে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আসেন ৪ দেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রদূত এবং ৩ দেশের অস্থায়ী হাইকমিশনার।
চার অস্থায়ী রাষ্ট্রদূত হলেন: কিউবার আলেজান্দ্রো সিমানকাস মারিন, সার্বিয়ার সিনিসা প্যাভিক, মেক্সিকোর ফেদেরিকো সালাস লোটফি এবং বেলজিয়ামের দিদিয়ের ভ্যান্ডারহাসেল্ট।
তিন হাইকমিশনার হলেন: ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর ড. রজার গোপাউল, ঘানার কোয়াকু আসোমাহ-চেরেমেহ ও কিংডম অফ ইসওয়াতিনির মেনজি সিফো ডালমিনি।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের স্বাগত জানিয়ে দ্বিপাক্ষিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এদিকে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে তারা নিজ নিজ দেশের পরিচয়পত্র পেশ করেন।
আপন দেশ ডটকম/ এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।