Apan Desh | আপন দেশ

জাতীয় চা দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০:৪৬, ৪ জুন ২০২৩

জাতীয় চা দিবস আজ

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় চা দিবস রোববার (৪ জুন)। ‘চা দিবসের সংকল্প, শ্রমিকবান্ধব চা শিল্প’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ চা বোর্ডের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনে তৃতীয়বারের মতো এবার ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপন করা হবে। এবার প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৩’ দেয়া হবে। আটটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হস্তান্তর করবেন। দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চা শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন চা শ্রমিকদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে চায়ের রাজধানী বলে পরিচিত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জাতীয় চা দিবসের মূল অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শ্রীমঙ্গলের বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে আয়োজিত ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপন এবং প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৩’ প্রদান অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল ১০টায়। অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী চা মেলার আয়োজন করা হয়েছে। চা মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চা প্রদর্শন ও বিক্রি করা হবে। দর্শনার্থীদের জন্য দিনব্যাপী চা মেলা উন্মুক্ত থাকবে। এর পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন এবং শ্রীমঙ্গল টি মিউজিয়ামে রক্ষিত চা শিল্পের দুর্লভ জিনিসপত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চা শিল্পে জাতির পিতার অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তার যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০২০ সালের ২০ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৪ জুনকে ‘জাতীয় চা দিবস’ ঘোষণা করা হয়।

এদিকে শনিবার (৩ জুন) বিকেলে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে টি রিসোর্ট অ্যান্ড মিউজিয়ামের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ টি বোর্ড আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জাতীয় চা পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নাম ঘোষণা করেন। প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা হলেন, একরপ্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগান– ভাড়াউড়া চা বাগান, সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান– মধুপুর চা বাগান, শ্রেষ্ঠ চা রফতানিকারক– আবুল খায়ের কনজ্যুমার প্রডাক্টস, শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী আনোয়ার সাদাত সম্রাট (পঞ্চগড়), শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান– জেরিন চা বাগান, বৈচিত্র্যময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট, দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রিন ফিল্ড টি ইন্ডাস্ট্রিজ এবং শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী (চা শ্রমিক)– উপলক্ষী ত্রিপুরা, নেপচুন চা বাগান।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চায়ের গুণগত মান ঠিক রেখে চা শিল্পের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আশরাফুল ইসলাম। 

দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় পানীয় চা। সিলেটের মালনিছড়া চা বাগানে ১৮৫৪ সালে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ শুরু করা হয়। ধীরে ধীরে এ অঞ্চলের অন্যতম সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে চা শিল্প বিকশিত হতে থাকে। উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে ব্রিটিশ শাসনাধীন উপমহাদেশের এ অঞ্চলে চা শিল্পের অগ্রগতি মূলত ব্রিটিশদের মাধ্যমেই হয়েছে।

আপন দেশ/আরএ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়