ফাইল ছবি
টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের প্রথমদিন শান্তিপূর্ণভাবে সারাদেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সফল করায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নেতাকর্মী ও জনগণকে মোবারকবাদ জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে আরও জোরদার ও তীব্রতর করার মাধ্যমে সরকারের পতন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
রোববার (১৯ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন রিজভী।
‘আগামী ১০-১৫ বছরে বিএনপি বলে কোনো দল বাংলাদেশে আর থাকবে না’- প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, হঠাৎ বিদেশ থেকে আসা দাম্ভিকতাপূর্ণ কণ্ঠ শুনে দেশের মানুষ স্তম্ভিত-হতবাক হয়েছেন। একই সঙ্গে জনগণ অট্টহাসিও দিয়েছেন।
তিনি বলেন, তার মানে এই সময়ে তারা বিএনপিকে ধ্বংস ও নিঃশেষ করে দেবে। দেশে শুধু একটাই রাজনৈতিক দল থাকবে। যেখানে ভিন্ন মতাদর্শের কেউ থাকতে পারবে না, কেউ স্বৈরাচারী সরকারের সমালোচনা করতে পারবে না, বাকশাল-২ স্থাপিত হবে।
বিশ্বের মানচিত্রে লাল-সবুজের পতাকা যতদিন থাকবে ততদিন এই দেশে বিএনপি থাকবে বলেও মন্তব্য করেন এই বিএনপি নেতা।
রিজভী বলেন, এই উপদেষ্টাবের মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার অনুগতরা দশকের পর দশক ধরে বিএনপিকে ধ্বংসের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। ১/১১ বেআইনি সরকারও সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিল, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। বরং বিএনপি এখন বাংলাদেশের ঘরে ঘরে তৃণমূল শক্তি। যতবার আঘাত এসেছে ততবার আরও শক্তিশালী হয়েছে। বিএনপি প্রতিবারই চক্রান্তের চোরাবালি থেকে জেগে উঠে চতুর্দিকে আবার বিস্তার লাভ করেছে। বিএনপির রাজনীতি তো হচ্ছে এই দেশে মৃত্তিকা থেকে উৎসারিত ও মানুষের বুকের ভেতরে প্রথিত। সুতরাং আগামী ১০-১৫ বছর কেন বিশ্বের মানচিত্রে লাল-সবুজের পতাকাটি যতদিন থাকবে ততদিন এই দেশে বিএনপি থাকবে ইনশাআল্লাহ!
তিনি বলেন, আমি শুধু সজীব ওয়াজেদ জয়কে বলবো ইতিহাস পড়ুন। স্বৈরাচাররা যখন ক্ষমতার মসনদে বসে থাকে তখন অন্ধের মতো দাম্ভিকতা দেখায়। ফেরাউন পানিতে ডুবে যাওয়ার আগের দিনও জানতো না আগামীকাল তার শেষদিন। এ ধরনের কথা আপনি পূর্বেও অনকবার বলেছেন। আপনার কথাগুলো এখন বাসি হয়ে গেছে। জনগণের দাবি মেনে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে দেখুন আওয়ামী লীগের অবস্থান কী হয়।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী দুর্বৃত্ত অক্ষশক্তির পক্ষ নিয়েছে জনগণের কষ্টার্জিত টাকায় বেতনভোগী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আওয়ামী দলীয় পোষ্য দলদাস কর্মকর্তারা। তাদের বিরোধীদল দলন-দমন-নিঃশেষ করার ভয়ঙ্কর র জুলুম, নিপীড়ন, গ্রেফতার তাণ্ডব সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু তাদের জানা উচিত এই নিশুতি সরকারই শেষ সরকার নয়। কিছুদিন পরেই হবে জনগণের সরকার। তখন এই আজ্ঞাবাহী দলদাস পোশাকি সন্ত্রাসীদের পরিণতি কী হবে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে।
রিজভী আরও বলেন, ৪৮ ঘণ্টার শান্তিপূর্ণ হরতালের প্রথমদিন সারাদেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সফল করায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আমি সারাদেশের নেতাকর্মী ও জনগণকে মোবারকবাদ জানাচ্ছি।
একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে আরও জোরদার ও তীব্রতর করার মাধ্যমে সরকারের পতন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান রিজভী।
আপন দেশ/ এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।