Apan Desh | আপন দেশ

‘রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে আ.লীগ সভা করছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:৩৯, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩

আপডেট: ১৭:২১, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩

‘রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে আ.লীগ সভা করছে’

ছবি: আপন দেশ ডটকম

বিএনপি'র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ সভা-সমাবেশ করছে; অথচ বিএনপির কর্মসূচিকে নানাভাবে ব্যাহত করা হয়; এমন কি কখনো কখনো করতে দেয় না। গত ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ এর আগে পুলিশ দিয়ে তারা ১৫ দিন আগে থেকেই বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের কৌশল।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে গুলশান বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোটের লিয়াজো কমিটির সাথে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, সেটা তারা ধ্বংস করে দিয়েছে অভিযোগ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে। তারা মুখে বলে একটা, কাজ করে আরেকটা।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বৈঠকে বর্তমান দেশের রাজনীতির যে প্রেক্ষিক সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। এই আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য ভবিষ্যতে কি কর্মসূচি হওয়া উচিত আর কি ধরনের কর্মসূচি নেয়া যেতে পারে এবং কিভাবে জনগণকে আরো বেশি সম্পৃক্ত করা যেতে পারে সেই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছি।

বৈঠকের সারাংশ তোলে ধরে তিনি বলেন, আমরা অনির্বাচিত সরকার পতনের লক্ষ্যে যে যুগপৎ আন্দোলন করছি। সামনের দিকে আরো জনগণকে বেশি সম্পৃক্ত করে আন্দোলনকে বেগবান করে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনা, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আমাদের লক্ষ লক্ষ নেতা কর্মীরা মামলার আসামি তা প্রত্যাহার ও অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবিতে একমত হয়েছি। 

মির্জা ফখরুল বলেন, যখন আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে, তখন বিএনপি চেয়ারপারসন এবং খালেদা জিয়া বলেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়ে বাংলাদেশে একটি চিরস্থায়ীভাবে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হলো এবং দেশে একটি অস্থিতিশীল অনিশ্চয়তা এবং সহিংসতার দার উন্মুক্ত করা হলো। যার প্রমান ১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা আমাদের সমাবেশের আগে তিন দিন আগে থেকেই স্ট্রাইক করে। পুলিশকে নামিয়ে দিয়ে রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে মোবাইল ফোন পর্যন্ত তারা চেক করতে থাকে। গত ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ এর আগে পুলিশ দিয়ে তারা ১৫ দিন আগে থেকেই বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের কৌশল। বিরোধীদলকে তারা কর্মসূচি করতে দেবে না, বাধা দেবে। ভিন্ন মত সহ্য করবে না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ তাদের কথা বলতেই থাকবে। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই জবরদখলকারী ফ্যাসিবাদী, অনির্বাচিত সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা যে ১০ দফা দাবি দিয়েছি সেই দাবি আদায় করার জন্য আমরা যে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছি। এ যুগপৎ পথ আন্দোলনের মত বিনিময়ের অংশ হিসেবে আজকে আমরা ১২ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বসেছি। এরপর যে সকল দল এবং জোট রয়েছে তাদের সাথেও বসবো।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, এই অগণতান্ত্রিক সরকার বিরোধী সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা আজকে আমাদের মূল লক্ষ্য। সমস্ত সরকারবিরোধী শক্তি আজ মনে মনে সংকল্পবদ্ধ। সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে এই স্বৈরাচার সরকারকে পতন ঘটানো।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ১২ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী মো. আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের যুগ্ম মহাসচিব মো. তফাজ্জল হোসেন।

বিএনপির নেতাদের মধ্যে লিয়াজো কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান ও আব্দুল আউয়াল মিন্টু।

আপন দেশ ডটকম/ এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়