ছবি: সংগৃহীত
জয়পুরহাটে ছোট যমুনায় প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে সনজিত বাশফোর (২৩) ও তন্ময় রজক (১৭) নামে দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজের প্রায় ২০ ঘণ্টা পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে প্রথমে শিক্ষার্থী সনজিত ও কিছুক্ষণ পর তন্ময়কে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূর থেকে উদ্ধার করা হয়।
জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী উপপরিচালক মো. শওকত আলী জোদ্দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শিক্ষার্থী সনজিত বাশফোর জয়পুরহাট শহরের রেলস্টেশন রোড এলাকার শান্তিনগর মহল্লার মৃত বিশ্বজিৎ বাশফোরের ছেলে। সে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। তন্ময় রজক একই এলাকার পরেশ চন্দ্রের ছেলে। সে শহরের কাশিয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র। তারা দুজনই জেলা হিন্দু ছাত্র যুব পরিষদের সক্রিয় নেতাকর্মী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কালীমন্দিরে আসন্ন কালীপূজা উদযাপনের জন্য নতুন কালীপ্রতিমা (কালীমূর্তি) স্থাপনের জন্য বুধবার বিকালে মন্দিরের গত বছরের পুরনো কালীপ্রতিমা ছোট যমুনা নদীতে বিসর্জন দিতে নিয়ে যাওয়া হয়। ছোট যমুনায় কালীপ্রতিমা বিসর্জন দিতে অন্যদের সঙ্গে দুই শিক্ষার্থী তন্ময় ও সনজিতও সেখানে যায়। তারা দুজন ঢোল বাজাচ্ছিল। কালীপ্রতিমা নদীতে নামিয়ে বিসর্জনের পর গোসল করার সময় হঠাৎ তন্ময় নদীর গভীরে ডুবে যেতে থাকে। এ সময় তার পাশে থাকা সনজিত তাকে ধরে আটকাতে গিয়ে একে একে দুজনই পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়।
খবর পেয়ে জয়পুরহাট সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিসকর্মী, পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের কাউকে উদ্ধারে নামে। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহী থেকে সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের ৬ সদস্যের ডুবুরির দল জয়পুরহাটের চকশ্যামের ছোট যমুনায় দুর্ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
তবে প্রায় রাত ১টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েও বুধবার রাতে কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি তারা। এর পর বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলের প্রায় ১০০ মিটার দূর থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
আপন দেশ ডটকম/ এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।