Apan Desh | আপন দেশ

চাঁদপুর ও শরীয়তপুরে ৭০ গ্রামে রোজা শুরু

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪৯, ২৩ মার্চ ২০২৩

চাঁদপুর ও শরীয়তপুরে ৭০ গ্রামে রোজা শুরু

ফাইল ছবি

সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে চাঁদপুরের প্রায় ৫০টি এবং শরীয়তপুরের ২০টি গ্রামের মানুষ পবিত্র রোজা পালন শুরু করছেন।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা প্রতি বছরই আগাম রোজা এবং দুই ঈদ উদযাপন করেন।

সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীর শায়েখ মো. আরিফ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা  বুধবার রাতে তারাবি পড়েছি, সেহরি খেয়ে বৃহস্পতিবার থেকে রোজা পালন শুরু করেছি। ২৯ শাবান কোথাও চাঁদ দেখা যায়নি। ৩০ শাবান শেষ। এরপরতো আর মাস হয় না। আজ থেকে পহেলা রমজান।’

এ মতবাদের অনুসারী ফরিদগঞ্জ উপজেলার শামীম মুন্সি জানান, বুধবার রাতে এশার নামাজের পর রাত সাড়ে ৮টায় তারাবির নামাজ আদায় করা হয়। ভোররাতে সেহরি খাওয়ার মধ্য দিয়ে রোজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।

একই তথ্য জানান, উপজেলার টোরা মুন্সিরহাট বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মাহবুবুর রহমান।

শাহরাস্তি উপজেলার শিক্ষক মো. রুহুল আমিন জানান, পূর্বে আমাদের উপজেলায় এই মতবাদের অনুসারী না থাকলেও গত কয়েক বছর বেড়েছে। তারাও এখন আগাম রোজা ও ঈদ পালন করে।

বৃহস্পতিবার থেকে রোজা রাখেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বরকুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাশারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ।

জানা গেছে, সাদ্রার হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মরহুম মাওলানা আবু ইছহাক ইংরেজি ১৯২৮ সাল থেকে আরব বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে ইসলামের সব ধর্মীয় রীতিনীতির প্রচলন শুরু করেন। তার মৃত্যুর পর থেকে তার ছয় ছেলে এ মতবাদ চালিয়ে আসেন। এর মধ্যে পীরের বড় ছেলে আবু যোফার মোহাম্মদ আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুর পর এখন তার ছেলে আরিফও এ মতবাদ চালাচ্ছেন।

এদিকে শরীয়তপুরের সুরেশ্বর দরবার শরীফের ভক্ত ও অনুসারীরা দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে এই রমজান ও দুটি ঈদ পালন করে আসছেন।

সুরেশ্বর দরবার শরীফের গদিনশিন পীর সৈয়দ তৌহিদুল হোসাইন শাহিন নুরী জানান, জেলার সুরেশ্বর, কেদারপুর, হালৈসার, চাকধো, চন্ডিপুরসহ ২০ গ্রামের মানুষ বিগত ১০০ বছর ধরে সুরেশ্বরের ভক্ত আশেকানা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ ও রোজা পালন করে আসছেন।

তিনি আরও জানান, চাঁদ কিন্তু একটাই, তাই পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে আমরা সেটাকেই অনুসরণ করে থাকি। আমাদের ভক্ত আশেকানসহ আমরা বুধবার রাতে তারাবি নামাজ আদায় করেছি। বৃহস্পতিবার থেকে রোজা পালন শুরু করেছি।

আপন দেশ/আরএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ