
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটপ্রেমিদের পছন্দের ক্রিকেটার সাবিক আল হাসান। যশ খ্যাতি এমনকি অর্থও পাহাড়সম। তবে সমালোচনা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারছেন না। একজন খুনির কাছে নিজের খ্যাতিকে ভাড়া দিলেন। সেটাও আবার পুলিশ খুনী। ইতোমধ্যে শেয়ারবাজারের গেম্বলারের সঙ্গে পার্টনারে ব্যবসা করে নিজের ইমেজে কালো দাগ ফেলেছেন।
ঢাকায় পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) স্কুল অব ইন্টেলিজেন্স পরিদর্শক মামুন ইমরান খানকে (৩৪) হত্যা মামলার ৬ নম্বর পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম আপন ওরফে আরাভ খান। সেই আরাভ খানের সোনার দোকান উদ্বোধন করতে দুবাই গেলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৮ সালে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) স্কুল অব ইন্টেলিজেন্স পরিদর্শক মামুন ইমরান খানকে (৩৪) পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। সেই হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি আরাভ খান।
মামুনকে হত্যার ঘটনায় তার ভাই ডিএমপির বনানী থানায় ২০১৮ সালের ১০ জুলাই একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ২০১৯ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলার এজহার অনুযায়ী আরাভের আসল নাম রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয়।
হত্যা মামলার সাজা থেকে বাঁচতে আবু ইউসুফ লিমন নামে এক তরুণকে বিকেএসপিতে খেলার সুযোগের প্রলোভন দেখান আরাভ। এই প্রলোভনে লিমনে আদালতে আরাভের বদলে আত্মসমর্পণ করে। পরে আদালত লিমনকে কারাগারে পাঠায়। এই ফাঁকে আরাভ ঊর্ধ্বতন এক সরকারি কর্মকর্তার সহায়তায় নকল পাসপোর্ট বানিয়ে দেশ ত্যাগ করে দুবাইয়ে চলে যায়।
পরে এ বিষয়টি সবার জানাজানি হলে লিমনকে আদালত খালাস দেয়।
দুবাইয়ের আরাভ খানই পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যার ৬ নম্বর পলাতক আসামি বলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের মতিঝিল বিভাগ নিশ্চিত করেছে। ডিবি জানায়, পুলিশে জমা দেয়া অভিযোগপত্রেও তাকে পলাতক আসামি দেখানো হয়েছে।
এদিকে আজ (১৫ মার্চ) আরাভ জুয়েলার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান দুবাইয়ে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সাকিব সেখানে রয়েছেন। পলাতক আসামির দোকান উদ্বোধন সাকিবের অংশগ্রহণ নিয়ে দুবাইয়ের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে বেশ আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
পুলিশ খুনীর দোকান উদ্বোধনে নিজের পরিচিতির খ্যাতিকে সেল করতে কতো নিয়েছেন সেটা জানা যায়নি। তবে সাকিব আল হাসান চলতি জীবনের একটি মিনিটকেও বিনালাভে ব্যয় করেন না-এমন আলোচনা সব মহলে। এ নিয়ে বিসিবিকে অওেনকদূর হাঁটতে হয়েছে।
আপন দেশ/এবি