Apan Desh | আপন দেশ

স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যক্রমে বিনিয়োগ শিক্ষা যুক্ত করতে চায় বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:১৬, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

আপডেট: ১৭:৩৪, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যক্রমে বিনিয়োগ শিক্ষা যুক্ত করতে চায় বিএসইসি

বক্তব্য রাখছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান।

বিনিয়োগ শিক্ষার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তিনি বলেন, বিনিয়োগকারী এবং বাজার উভয়ের জন্য বিনিয়োগ শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যক্রমে বিনিয়োগ শিক্ষা কিভাবে যুক্ত করা যায় সে ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। 
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, উন্নত দেশগুলোর স্টক এক্সচেঞ্জে ৯০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, বাকী ১০ শতাংশ রিটেইল। কিন্তু আমাদের দেশে ঠিক তার উল্টো। আমাদের বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক ইনভেস্টর থাকলে ফ্লোর প্রাইজ নিয়ে আমরা চিন্তাও করবো না। আমি আইএসকোর একজন কর্মকর্তা, বিপাকে পড়ে আমাকে ফ্লোর প্রাইজের কথা ভাবতে হয়েছে। শুধুমাত্র রিটেইল ইনভেস্টরদের কথা ভেবে কমিশনকে ফ্লোর প্রাইজের কথা চিন্তা করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা যখন এসেছি তখন ছিলো করোনা, একদম বন্ধ মার্কেট। আমরা এসেই কাজ করেছি কিভাবে পুঁজিবাজারকে চালু করা যায়। বন্ধ মার্কেটকে পুনরায় চালু করতে আমরা ঠিকই প্রতিদিন অফিস করেছি। কিন্তু আমরা ছাড়াও মার্কেটে যারা কাজ করে, যারা মধ্যস্থতাকারী আছেন তারা অফিস করছিলেন না। তারা ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছিলেন না। তার পরেও আমরা মার্কেটকে সাড়ে ৬ হাজার পয়েন্টে নিয়ে এসেছি।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান বলেন, বিভিন্ন সংকটের মধ্যেও দেশের পুঁজিবাজার ভালো করছে। বাজার উন্নয়নে সরকারের সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। তবে জেনে-বুঝে বিনিয়োগ করা লোক অনেক কম বলে জানিয়েছেন 

এই বাজারের সম্ভাবনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত ২০১৯ সালে ৮ শতাংশের কাছাকাছি অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হয়েছিলো। সে সময় বিভিন্ন সংকট দেখা দেয়। সংকটের মধ্যেও ৫ শতাংশের উপরে গ্রোথ হয়েছে। এছাড়া সারা দেশের মানুষের হাতে টাকা আছে। একইসঙ্গে রয়েছে শক্তিশালী উদ্যোক্তা। তারা মার্কেটে আসতে চায়। তবে খাতটিতে দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। বাজারে গুটিকয়েক মানুষের পদচারণা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর সংখ্যাও অনেক কম। এছাড়া পলিসি মেকারে আরও বেশি মানযোগ বাড়াতে হবে।

ইআরএফ’র সভাপতি শারমীন রিনভীর সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিরুজ্জামান, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সংগঠন বিএপিএলসির সাবেক প্রেসিডেন্ট আজম জে চৌধুরী প্রমুখ।

আপন দেশ ডটকম/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়