Apan Desh | আপন দেশ

লভ্যাংশের বদলে মন্দ বার্তা দিল নিয়মভঙ্গকারী দুই প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:০৩, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

লভ্যাংশের বদলে মন্দ বার্তা দিল নিয়মভঙ্গকারী দুই প্রতিষ্ঠান

ফাইল ছবি

শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশের টাকা আটকে রেখেছে দুই কোম্পানি। উল্টো ভীতি প্রদর্শন করছে নিয়মভঙ্গকারী প্রতিষ্ঠান। লভ্যাংশ দিলে কোম্পানী বন্ধ হবে বলে বার্তা দিয়েছে কোম্পানি কতৃপক্ষ। তাতে নাকি সায় দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। ব্রোকার হাউসের ঋণের সুদ তো থেমে থাকবে না। এ বিষয়ে বিএসইসিকে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন শেয়ারহোল্ডারগণ।

আইনে বেঁধে দেয়া সময় পার হয়ে গেলেও শেয়ারহোল্ডারদের অ্যাকাউন্টে লভ্যাংশের টাকা পাঠায়নি। কোম্পানি দুটি হচ্ছে- মূল মার্কেটে তালিকাভুক্ত লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড ও এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানি উল্টো ভীতি প্রদর্শন করছে নিয়মভঙ্গকারী প্রতিষ্ঠান। উল্টো ভীতি প্রদর্শন করছে নিয়মভঙ্গকারী প্রতিষ্ঠান। 

বিদ্যমান আইন অনুসারে, তালিকাভুক্ত কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে শেয়ারহোল্ডারদের কাছে লভ্যাংশের টাকা পাঠাতে হয়। কিন্তু আলোচিত দুই কোম্পানির এজিএমের পর ৩০ দিনের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও লভ্যাংশের টাকা পাঠায়নি কোম্পানি দুটি।

জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ২৭ তারিখে ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয় লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ২০ তম বার্ষিক সাধারণ সভা। অনুষ্ঠিত সে সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু এজিএম অনুষ্ঠিত এবং লভ্যাংশ অনুমোদনের একমাস পরেও বিনিয়োগকারীদের কাছে লভ্যাংশ পাঠায়নি কোম্পানিটি।

কোম্পানিটির চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) মফিজুর রহমান আপন দেশ'কে বলেন, আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি থেকে সময় চেয়েছি। জেনারেল শেয়ারহোল্ডারদেরকে আগে লভ্যাংশ পাঠিয়ে দিতে বলেছে বিএসইসি। আর এখন এলসি ওপেন করতে পারছিলাম না। গত ছয় মাস আমরা এলসি খুলতে পারিনি। আমরা চাইলে এখন লভ্যাংশ পাঠিয়ে দিতে পারি। কিন্তু তারপর আমাদেরকে কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে। তখন কি হবে? শেয়ারহোল্ডারাও কোম্পানির মালিক। তাদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা এলসিগুলো খুলছি। যাতে আমাদের কারখানা সচল থাকে।

এদিকে, পুঁজিবাজারের এসএমই সেক্টরে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিডি পেইন্টস লিমিটেডের লভ্যাংশ বণ্টন নিয়েও উঠেছে একই অভিযোগ। গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ২৬ তারিখে অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু এজিএম অনুষ্ঠিত এবং লভ্যাংশ অনুমোদনের একমাস পরেও বিনিয়োগকারীদের কাছে কোম্পানিটি লভ্যাংশ পাঠায়নি বলে অর্থসূচককে জানিয়েছেন কোম্পানিটির কয়েকজন বিনিয়োগকারী।

এ প্রসঙ্গে বিডি পেইন্টসের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) অমরকৃষ্ণ চক্রবর্তীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আসলে এরকম নয়। আমরা কিছু বিনিয়োগকারীর কাছে ইতিমধ্যে লভ্যাংশ পাঠিয়েছি। আর কয়েকজন বাদ রয়েছেন। আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের মাঝেই তাদের একাউন্টে লভ্যাংশ পাঠিয়ে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, আইন অনুযায়ী এজিএম অনুষ্ঠিত হবার ৩০ দিনের মাঝেই লভ্যাংশ হতে প্রাপ্ত অর্থ কিংবা স্টক বিনিয়োগকারীর ব্যাংক অথবা বিও অ্যাকাউন্টে পাঠাতে হবে। 

আপন দেশ ডটকম/ এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়