Apan Desh | আপন দেশ

পাখি নিধনকারীর সন্তার মারা যায়!

নোয়াখালী প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ২০:১৩, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

পাখি নিধনকারীর সন্তার মারা যায়!

ছবি : আপন দেশ

পাখিগুলো ফজরের নামাজের পরপরই চলে যায়। দিন শেষে সন্ধ্যায় পুনরায় ফিরে আসে এখানে। প্রতিদিনের ঘটনা এটি।এভাবে চলছে শত বছর। স্থানীয়দের ভাষ্য কেউ এ পাখির কোনো ক্ষতি করলে তারাও বিপদের সম্মুখীন হয়।

জনশ্রুতি আছে বেশ কয়েক বছর আগে বেদে জনগোষ্ঠীর এক লোক এখানকার কয়েকটি পাখি মেরে ফেললে তাদের দুটি সন্তানও ওই রাতে মারা যায়। তাই তাদের মতে রহস্যময় পাখি এগুলো।  

নোয়াখালীর জয়াগ ইউনিয়নের সাতরা গ্রামে শত বছর বিচরণ করছে রহস্য ঘেরা হাজার হাজার পাখি। নানা প্রজাতির পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে মুখর আশপাশের এলাকা। পাখিদের ওড়াউড়ি কিচিরমিচির আওয়াজ মুগ্ধ করে স্থানীয় এলাকাবাসী ও দর্শনার্থীদের। এখানে প্রকৃত প্রদত্ত্ব ভাবে পাখির অভয়ারণ্য তৈরি হয়েছে। স্থানীয় লোকমুখে এ নিয়ে রয়েছে নানা কাহিনী।  

খোঁজ নিয়ে যায়, শরফুদ্দিন পাটোয়ারী বাড়ি। এ বাড়িতে বসবাস করছে ৩৬ পরিবার। এ বাড়ির সামনে আছে দুটি পুকুর। পাড়ে রয়েছে বেশ কিছু গাছ। শত বছর ধরে পুকুর পাড়ের গাছ গুলোতে বসবাস করছে হাজার হাজার পাখি। রহস্যজনক ভাবে পাখি গুলো প্রত্যেকদিন সন্ধ্যায় এখানে আসে। আবার ফজরের নামাজের পরপরই চলে যায়। সারা দিন শেষে সন্ধ্যায় তারা পুনরায় এখানে ফিরে। এভাবে চলছে শত বছর ধরে। স্থানীয়দের অভিমত কেউ এ পাখির কোনো ক্ষতি করলে তারাও বিপদের সম্মুখীন হয়।    

এখানে বিচরণ করা উল্লেখযোগ্য পাখিরা হলো, সাদা বক, কালো শালিক, শালিক, ঘুঘুসহ অন্তত ১৫-২০ প্রজাতির পাখি।  
 
স্থানীয় বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম তুহিন বলেন, এসব রহস্য পাখিকে স্থানীয়রা খুব মেনে চলে। তাদের পূর্ব পুরুষ থেকে পাখি গুলোর বিচরণ। দুটি পুকুরের মাছের জন্য দিতে হয়না আলাদা কোনো খাদ্য। পাখির বিষ্ঠায় মাছের খাদ্য। এতে সহজে পুকুরের মাছ গুলো অল্প দিনে ৩-৪ কেজি হয়ে যায়। মাছও অনেক সুস্বাদু। পুকুরের পানি দেখতে খারাপ লাগলেও তারা ওই পানিই ব্যবহার করছে। এতে তাদের কোনো ক্ষতি হয় না। জনশ্রুতি আছে বেশ কয়েক বছর আগে বেদে জনগোষ্ঠীর এক লোক এখানকার কয়েকটি পাখি মেরে ফেললে তাদের দুটি সন্তানও ওই রাতে মারা যায়।    

নোয়াখালী উপকূলীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউছুফ জানান, ভিন্ন রকমের পাখি এখানে বসবাস করার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থর পরিদর্শন করি। দীর্ঘ সময় পাখি গুলো এখানে বসবাস করার কারণ খুঁজে বের করার পাশাপাশি স্থানীয়দের এ বিষয়ে সচেতন করে তোলা হবে। 

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়