বাংলাদেশের আম ৩৪ দেশে, রফতানি বেড়েছে ৫৫ শতাংশ

চলতি বছর আম রফতানি বেড়েছে ৫৫ শতাংশ। এ বছর আম রফতানি হবে আরও ১৫-২০ দিন। শুধুমাত্র ২০২২-২৩ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৭০০ টন আম রফতানি করা হয়েছে; যা আগের অর্থবছরের চেয়ে এক হাজার টন বেশি। গত বছর সব মিলিয়ে মোট এক হাজার ৭৫৭ টন আম রফতানি হয়েছিল।

দেশে বছরে প্রায় ২৫ লাখ টন আম উৎপাদন হয়। কিন্তু, উৎপাদনের তুলনায় রফতানির পরিমাণ অনেক কম। তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আম রফতানি আগের চেয়ে বেড়েছে। শুধুমাত্র ২০২২-২৩ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত  দুই হাজার ৭০০ টন আম রফতানি করা হয়েছে; যা আগের অর্থবছরের চেয়ে এক হাজার টন বেশি। গত বছর সব মিলিয়ে মোট  এক হাজার ৭৫৭ টন আম রফতানি হয়েছিল।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আম রফতানি বিষয়ক প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুর রহমান বলেন, চলতি বছর আরও ১৫-২০ দিন আম রফতানি হবে। ফলে বছরের পুরো হিসাব পেলে রফতানি বৃদ্ধির হার আরও বড় হবে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশ থেকে ২৮টি দেশে আম রফতানি করা হয়। তবে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে রফতানিযোগ্য দেশের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে রফতানির পরিমাণও। এ অর্থবছরে ৩৪টি দেশে আম রফতানি করা হয়েছে। 

আম রফতানির তালিকায় প্রথমে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে ইতোমধ্যে রফতানি করা হয়েছে এক হাজার ২৫৬ টন আম। ২৯৬ টন রফতানি করে তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইতালি। এ ছাড়া কুয়েতে ২১৮ টন, সৌদি আরবে ২৬০ টন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৩৭ টন, কাতারে ১১১ টন, সিঙ্গাপুরে ৫৫ টন, সুইজারল্যান্ডে ১৪ টন, জার্মানিতে ৭০ টন, ফ্রান্সে ৮৫ টন, সুইডেনে ৬৫ টন ও কানাডায় ৪০ টন আম রফতানি করা হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশ থেকে মাত্র ২৩২ টন আম রফতানি করা হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩১০ টন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৮৩ টন ও ২০২০-২১ অর্থবছরে এক হাজার ৬৩২ টন আম রফতানি করা হয়।

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের আমের বিপুল চাহিদা থাকায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে আম উৎপাদন ও প্যাকেজিং করার জন্য যে প্রকল্প করা হয়েছে সেই প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের উত্তম কৃষি চর্চা মেনে আম উৎপাদনসহ বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে বলে প্রকল্প কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

আপন দেশ/আরএ