গুলিবিদ্ধ কেটলি, কনস্টেবল নুরুল ইসলাম ও গুলিবিদ্ধ মনির মাহমুদ।
ঝালকাঠি পুলিশের গুলিতে চা দোকানী আহত। গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম মনির মাহমুদ। ঘটনাটি চারদিন ধামাচাপা দেয়া হয়েছিল। জানাজানি হয় বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে। তবে পুলিশের দাবি এটি ছিল মিসফায়ার। আর অভিযুক্ত পুলিশ নুরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ মনির মাহমুদ রাজাপুর উপজেলার রোলা গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে। সে বর্তমানে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকের ঘটনা এটি। রাজাপুরের লেবুবুনিয়া বাজারে টহল দিচ্ছিল কনস্টেবল নুরুল ইসলাম। অটোরিকশায় উঠতে গিয়ে হঠাৎ করে তার হাতে বন্দুক থেকে একটি মিসফায়ার হয়। ওই গুলি লাগে রাস্তার পাশের চা দোকানি মনিরের পায়ে। তাকে তাৎক্ষণিক পুলিশের পক্ষ থেকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে মনির ভালো আছেন।
চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ মনির এ প্রতিবেদককে বলেন, রাত সাড়ে ১২টার পর থানা পুলিশ টহলে আসেন। তখন আমি দোকানে চা বানাচ্ছিলাম। হঠাৎ কনস্টেবল নূরুল ইসলাম এর হাতে থাকা বন্দুক থেকে গুলি বের হয়। গুলি আমার পায়ে লাগে। দোকানের চায়ের কেটলি দুমড়ে মুচড়ে যায়। তারপর পুলিশেরাই আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এখন দোকান বন্ধ থাকায় পরিবার আর্থিক সংকটে পড়েছে বলে জানান মনির। এদিকে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল নুরুল ইসলামের মতামত পাওয়া যায়নি।
ঝালকাঠি পুলিশ সুপার (এসপি) আফরুজুল হক টুটুল জানান, এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম নামে ওই কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। চায়ের দোকানি মনিরের চিকিৎসাসহ সার্বিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।