
ফাইল ছবি
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) কাছে দায় হিসেবে ১০৫ কোটি ডলার পরিশোধ নিষ্পত্তির পর রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে। এর আগের দিন সোমবার (৬ মার্চ) রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার।
এক বছর আগে রিজার্ভ ছিল প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলার। পতন ঠেকাতে এরই মধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ইতোমধ্যে আইএমএফের প্রথম কিস্তির প্রায় ৪৭ কোটি ডলার রিজার্ভে যোগ হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ইতিহাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০২১ সালের আগস্টে। আর রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৩৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায় ২০১৭ সালের ২২ জুন। এরপর করোনার প্রভাব শুরুর আগ পর্যন্ত রিজার্ভ ৩২ থেকে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘরে উঠানামার মধ্যে ছিল। করোনার প্রভাব শুরুর পর বিশ্ববাজারে সুদহার অনেক কমে আসে। তখন বিশ্বের অনেক দেশ বিদেশি ঋণ কমালেও বাংলাদেশে বেড়ে যায়। বিশ্ববাজারে দর বৃদ্ধির পাশাপাশি আগের ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে।
রিজার্ভের পতন ঠেকাতে আইএমএফের তহবিল থেকে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে প্রথম কিস্তি চলে এসেছে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রিজার্ভের হিসাব করতে হবে। এক্ষেত্রে রফতানি উন্নয়ন তহবিলের সাত বিলিয়ন ডলারসহ বিভিন্ন তহবিলে দেয়া আট দশমিক চার বিলিয়ন ডলার বাদ দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এতে সম্মত হয়েছে। সে বিবেচনায় ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ এখন ২২ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।
প্রসঙ্গত, আকু হলো একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তানের মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। দায় পরিশোধের মতো রিজার্ভ না থাকায় গত অক্টোবরে আকু থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করেছে শ্রীলঙ্কা।
আপন দেশ/আরএ