Apan Desh | আপন দেশ

এগিয়ে ইমরান–সমর্থিত প্রার্থীরা, সরকার গঠনে অনিশ্চয়তা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:৩৫, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

এগিয়ে ইমরান–সমর্থিত প্রার্থীরা, সরকার গঠনে অনিশ্চয়তা

ফাইল ছবি

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শেষের পথে রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দেশটির জাতীয় পরিষদের ২৬৬টি আসনের মধ্যে ২৬৫টি আসনে নির্বাচন হয়। নির্বাচনে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দী ইমরান খানের সমর্থিত প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর সঙ্গে আসনসংখ্যার পার্থক্য বাড়িয়ে চলেছেন।

সবশেষ তথ্য অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ২২৬টি আসনের প্রাথমিক ফলাফলেও ইমরান-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে আছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল। তারপরই রয়েছে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল।

পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেয়া প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যায়, ২২৬টি আসনের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯২টি আসনে জয় পেয়েছেন। যার অধিকাংশই ইমরান-সমর্থিত প্রার্থী। 

দ্বিতীয় স্থানে থাকা নওয়াজের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) পেয়েছে ৬৪টি আসন, আর তৃতীয় স্থানে থাকা বিলাওয়ালের পাকিস্তান পিপলস পার্টি পেয়েছে ৫০টি আসন।

এ ছাড়া মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) ১১টি এবং ইসতিকাম-ই-পাকিস্তান পার্টি (আইপিপি), জমিয়ত ওলেমা-ই-ইসলাম পাকিস্তান (জেইউআই-পি) ও পিএমএল দুটি করে আসনে ফল পেয়েছে। একটি আসনে জিতেছে পাখতুনখাওয়া ন্যাশনাল আওয়ামি পার্টি পাকিস্তান (পিএনএপিএফ)।

কোনো দলের সরকার গঠনে প্রয়োজন হবে ১৩৪টি আসন। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৩৩৬টি। এর মধ্যে ২৬৬টি আসনে সরাসরি ভোটগ্রহণ হয়। আর ৬০টি আসন সংরক্ষিত নারীদের জন্য ও ১০টি সংরক্ষিত সংখ্যালঘুদের জন্য।

আরও পড়ুন <> ইমরান–সমর্থিত প্রার্থীরা এগিয়ে

এদিকে ইমরান খানের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও তাদের সরকার গঠন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ নওয়াজের মুসলিম লীগ এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি জোট গঠন করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পাক সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নওয়াজ ও মুসলিম লীগের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে লাহোরে যাচ্ছেন পিপিপির দুই শীর্ষ নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো এবং আসিফ আলী জারদারি।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজ সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন নওয়াজ শরিফ। এ ভাষণে তিনি জানান, জাতীয় পরিষদের দল হিসেবে তারা সর্বোচ্চ আসন পেয়েছেন। যদিও ওই সময় তিনি জানান সরকার গঠন করতে হলে তাকে অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে জোট বাঁধতে হবে।

পিটিআই জানিয়েছে, নির্বাচনে তাদের প্রার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। ফলে তারাই সরকার গঠন করতে পারবে। যদি তাদের টপকে অন্য কোনো দলকে সকার গঠনের সুযোগ দেয়া হয় তাহলে এটি সংবিধান পরিপন্থি হবে।

এ ছাড়া পিটিআই দাবি করেছে, নির্বাচনের ফল ঘোষণার ক্ষেত্রে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। বুথ থেকে এক রকম ফল আনা হলেও; সেটি বদলে অন্য ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। দলটি ঘোষণা দিয়েছে, এই কারচুপির বিরুদ্ধে আদালতের দারস্থ হবে তারা।

পিটিআইয়ের অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, নিজেদের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ইমরানের খানের সঙ্গে দেখা করতে আদিয়ালা জেলে যাবে তাদের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে ইমরানের সঙ্গে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিয়ে পরামর্শ করা হবে।

এদিকে এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে দেশটিতে রাজনৈতিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আর যদি এটি চলতে থাকে তাহলে তা পুরো দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রভাব ফেলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপন দেশ/এমআর

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়