Apan Desh | আপন দেশ

কোলকাতায় ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৫৯, ২১ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ২১:৪৬, ২১ মার্চ ২০২৩

কোলকাতায় ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসব

ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতায় বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী উৎসবের বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়েবিশ্বায়নে ৭ই মার্চের মহাকাব্য ভারতের ভূমিকাশীর্ষক বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করা হয়েছে।

বাংলাদেশী লেখক মুক্তিযুদ্ধ গবেষক মোহাম্মদ সেলিম রেজার লেখা গবেষনাধর্মী এই বইটি প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধু রিসার্চ এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন, পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রকাশনা সংস্থা বঙ্গবন্ধু পাবলিশিং হাউজ।

২০ মার্চ (সোমবার) বিকেলে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ইনষ্টিটিউট অডিটোরিয়ামে বইটির মোড়ক উম্মোচন করেন কোলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের মিনিষ্টার (পলিটিক্যাল) এন্ড হেড অব চ্যান্সারি শিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু রিসার্চ এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী সভাপতি সুকেশ কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে বই প্রকাশ গুনীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে লেখক মোহাম্মদ সেলিম রেজা, কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক, কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, সাংবাদিক এবং শিক্ষাবিদরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাব্রিনা খান তন্দ্রার সূচনা সংগীতের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী উৎসব বই প্রকাশ অনুষ্ঠানের প্রানবন্ত আলোচনায় বক্তারা বিশ্বের প্রামাণ্য ঐহিত্যের (ডকুমেন্টারী হেরিটেজ) অংশ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণকে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ এবং স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে বিশ্ব ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে উল্লেখ করেন।

তাঁরা বলেন- বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ সময়ের পরিসীমায় গন্ডিবদ্ধ না থেকে তা হয় কালোত্তীর্ণ প্রেরণাদায়ী।

ভাষণের উল্লেখযোগ্য দিক হলো এর কাব্যিক গুণ, শব্দশৈলী বাক্যবিন্যাস- যা হয়ে ওঠে গীতিময় সারাবিশ্বে অনুরণিত মহাকাব্য হিসেবে।

অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তার আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। সেইসঙ্গে গভীর কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করা হয় বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণের একাত্মতা আত্মত্যাগ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ ভারত দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মৈত্রীর বন্ধন দৃঢ় থেকে আরো দৃঢ়তর হবে বলে বক্তরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দুই বাংলার শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে স্মারক দুটি বৃক্ষ রোপন করা হয়।

আপন দেশ/এবি

 

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়