Apan Desh | আপন দেশ

ছেলেদের পিছিয়ে যাওয়ার কারণ খুঁজতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:০৫, ২৬ নভেম্বর ২০২৩

আপডেট: ১২:৫৪, ২৬ নভেম্বর ২০২৩

ছেলেদের পিছিয়ে যাওয়ার কারণ খুঁজতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

ছবি: পিএমও

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এইচএসসিতে ছাত্রীদের পাসের হার বেশি, এটির জন্য ধন্যবাদ। সবসময় আমাদের শুনতে হয়— জেন্ডার ইকুয়ালিটি। এখন তো দেখি উল্টো হচ্ছে, ছেলেরা মেয়েদের থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবার দেখি মেয়েদের পাশের হার বেড়ে যাচ্ছে। এখন ছেলেদের পিছিয়ে যাওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে হবে।

রোববার (২৬ নভেম্বর) সকালে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, শুধুমাত্র পড়ে পাস করলে হবে না, সেটি অর্থবহ হতে হবে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যথেষ্ট হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ২০২১ ও ২০২২ সালে সমস্ত বিষয়ে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব হয়নি, যুক্তিসঙ্গতভাবে কিছু ব্যবস্থা নেয়া হয়। সে সময় আমি দেখেছি, আমাদের এইচএসসি বা সমমনা পরীক্ষার ফলাফল ৬০ দিনে দেয়ার যে একটি রীতি, সেটি কিন্তু আপনারা অব্যাহত রেখেছেন।  সেটির জন্য আপনাদেরকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আরও পড়ুন <> এইচএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার ৭৮.৬৪ শতাংশ

এর আগে সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর করা হয়। গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

দুপুর ২টায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এক সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় একই সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে একযোগে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

ফলপ্রার্থী শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই নির্ধারিত ওয়েবসাইটে ও এসএমএসের মাধ্যমে খুব সহজেই ফলাফল জানতে পারবেন। http://www.educationboardresults.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটে গিয়ে পরীক্ষার ফল দেখা যাবে।

এ ছাড়া মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার  ফল জানতে HSC লিখে একটি স্পেস দিয়ে বোর্ডে প্রথম তিন অক্ষর লিখে আরও একটি স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখতে হবে। এরপর আরও একটি স্পেস দিয় পাসের সন লিখতে হবে। এরপর পাঠাতে হবে ১৬২২২ এই নম্বরে।

গত ১৭ আগস্ট শুরু হয়েছিল এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী একটি বাদে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হয়েছে। শুধু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) পরীক্ষা শেষ সময়ে এসে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ পরীক্ষার্থী।

আপন দেশ/আরএ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়