Apan Desh | আপন দেশ

জিম্মি নাবিকদের মুক্তিপণের অঙ্ক চূড়ান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৫৩, ৬ এপ্রিল ২০২৪

আপডেট: ১৯:৫৯, ৬ এপ্রিল ২০২৪

জিম্মি নাবিকদের মুক্তিপণের অঙ্ক চূড়ান্ত

ছবি: সংগৃহীত

দরকষাকষির পর সোমালি জলদস্যুদের সঙ্গে ২৩ নাবিকের মুক্তিপণের অঙ্ক চূড়ান্ত হয়েছে। বীমা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ দরকষাকষি হয়েছে। তবে কত টাকায় এটি চূড়ান্ত করা হয়েছে তা জানা যায়নি। শনিবার (৬ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, সোমালীয় জলদস্যুদের কাছে কীভাবে মুক্তিপণ পৌঁছানো হবে তা আলোচনা করা হয়েছে। এবার জিম্মি নাবিকদের মুক্তি দিনক্ষণ নিয়ে আলোচনা করা হবে। ঈদের আগেই জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করতে বীমা প্রতিষ্ঠানকে চাপ দিচ্ছে জাহাজটির মালিক-পক্ষ। তবে জলদস্যুরা মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত মুক্তির তারিখ দিচ্ছে না। মুক্তিপণ দিয়ে নাবিকদের মুক্ত করার বিষয়ে অগ্রগতির কথা স্বীকার করেছে এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ। তবে মুক্তিপণের অঙ্ক কত, জানাতে নারাজ কেএসআরএম গ্রুপ।

অন্যদিকে, জিম্মি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটিকে দেশে আনতে বিকল্প ২৩ নাবিককে প্রস্তুত করে রেখেছে মালিকপক্ষ।

কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, নাবিকদের মুক্ত করার ব্যাপারে ভালো অগ্রগতি হয়েছে। বীমা প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু বলা যাবে না। জিম্মি নাবিকদের মুক্তির দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে আমরা সবাইকে জানিয়ে দেব।

তিনি বলেন, মুক্তিপণ ছাড়া সোমালীয় জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার নজির নেই। দয়া করে আর বেশি কিছু জানতে চাইবেন না।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশেনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, আমরা যতটুকু জেনেছি, জিম্মি নাবিকদের মুক্ত হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চাপের কারণে এবারে মুক্তিপণের টাকা পেতে জলদস্যুদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। কোন প্রক্রিয়ায় তারা মুক্তিপণের টাকা পাবে, সে বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার আগে তাই জিম্মিদের মুক্তির দিনক্ষণ ঘোষণা করছে না তারা। তবে ঈদের আগে নাবিকরা মুক্ত হচ্ছেন না– এটি অনেকটা নিশ্চিত।

মুক্তিপণ প্রদানের বিষয়টি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয় জানিয়ে ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী জানান, জাহাজের মালিকপক্ষ প্রথমে যোগাযোগ করে বীমাকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। এরপর আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বীমাকারী প্রতিষ্ঠান। মধ্যস্থতাকারীরা জলদস্যুদের প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করে। এ তিন পক্ষ পরস্পর আলোচনা করে মুক্তিপণের অঙ্ক ও প্রদান প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে। 

তিনি আরও জানান, মুক্তিপণের টাকা পাঁচ ভাগ হয়। জলদস্যুরা নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগ করে তিনটি স্তরে। এক ভাগ যায় মধ্যস্থতাকারী ও মুক্তিপণের টাকা পরিবহন করে দেয়া গ্রুপের কাছেও। ১৪ বছর আগে এমভি জাহান মণি জাহাজের ক্ষেত্রেও এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছিল।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। পরে তারা জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে নিয়ে যায়। জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রয়েছে।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

শীর্ষ সংবাদ:

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) চিফ প্রসিকিউটর ঢাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি দিতে বলেছেন প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় দফায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামীকাল মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জে র‍্যাব হেফাজতে নারী মৃত্যুর ঘটনায় ক্যাম্প কমান্ডার প্রত্যাহার সৌদি আরব পৌঁছেছেন ৩০ হাজার ৮১০ হজযাত্রী, দুইজনের মৃত্যু সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা আজ শুরু দেশের পাঁচ অঞ্চলে দুপুরের মধ্যে ঝড়ের পূর্বাভাস রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের অর্ধদিবস অবরোধ চলছে ইরানি প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মৃত্যু, জরুরি বৈঠক ডেকেছে ইরানের মন্ত্রিসভা ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি মারা গেছেন ভারতে লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ শুরু