Apan Desh | আপন দেশ

‘ধুরু মিয়া লেইখ্যা কি অইব? দাম কমবো...?’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:৪০, ১০ মে ২০২৪

আপডেট: ১১:৪৪, ১০ মে ২০২৪

‘ধুরু মিয়া লেইখ্যা কি অইব? দাম কমবো...?’

ফাইল ছবি

‘ধুরু মিয়া। লেইখ্যা কি অইব...? খবর লেইখ্যা কী জিনিসের দাম কমে? কোনো জিনিস পাইলাম না যে দাম বাড়েনি। দাম বেশি তাই কিনি না। এখন দেখছি খালি হাতে ফিরা যাইতে অইবো। দাম কমার কোনো আলামতও নেই ...। রাজধানীর খিলগাঁও কাঁচা বাজারের ক্রেতা আলাউদ্দি এমন করেই  তার ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন। আজ শুত্রবার। ১০ মে।    

দায়িত্বশীলদের বক্তব্য, আশ্বাসে সাধারণ মানুষে আশা জাগায়। কিন্তু জিনিসপত্রের বাজারে বাস্তবতা নেই। অস্বস্তির বাজারে স্বস্তির কোনো লক্ষণই নেই। দু’তিন মাস আগেও যে কাঁচা পেপের কেজি ১৬ থেকে ২০ টাকা ছিল। আজ সে পেপের দাম ৮০/৮৫ টাকা। সোনালী জাতের মুরগির দাম মাত্র সাতদিনে বেড়েছে ৮০ টাকা।ফার্মের মুরগির ডিমের দামও এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি ডজনে ২০ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকা দরে ঠেকেছে। 

আজ বাজারে পটল আর ঢেঁড়শ বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৬০-৮০ টাকার মধ্যে। এছাড়া অন্যান্য সবজির দাম এর ওপরে। গাজর-শসা ও টমেটোও ৮০-১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের দাম ৪০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকায় উঠেছে।

খিলগাঁও কাচাবাজারে সবজি বিক্রেতা জবান আলী। তিনি আপন দেশকে বলেন, সব সবজির দাম চড়া। গেল সপ্তাহে প্রচণ্ড গরমে ক্ষেতে অনেক সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। যার প্রভাব পড়ছে এখনকার বাজারে। 

এদিকে বাজারে পেঁয়াজের দাম নতুন করে বাড়তে দেখা গেছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা, যা আগের চেয়ে ৫ টাকা বেশি। এছাড়া আদা-রসুন ২২০ টাকার নিচে মিলছে না।

বেড়েছে মাছের দাম। ক্রেতারা মাছ কিনতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। নদী ও হাওরের মাছ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে গেছে অনেক আগেই। চাষের মাছও এখন বেশ চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। 

ঈদের আগে এক কেজি ছোট ও মাঝারি আকারের পাঙাশের দাম ছিল ১৮০-২২০ টাকা, সেই একই পাঙাশ এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকায়। দাম বেড়ে তেলাপিয়া মাছের কেজি ২৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। মাঝারি ও বড় মানের তেলাপিয়া ছিল ২২০-২৫০ টাকা। সে  তেলাপিয়া প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৮০ টাকায়।

চাষের কই বিক্রি হচ্ছে কেজি ২৫০ টাকার ওপরে। আর ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের চাষের রুই মাছের দাম হাঁকানো হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা কেজি। বড়গুলো ৩৬০-৪০০ টাকা।

বাজারে ইলিশের সরবরাহ তেমন নেই। ৪০০-৫০০ গ্রামের ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে প্রতিকেজি ১২০০-১৪০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম হলে ১৬০০-১৮০০ টাকা। আর কেজি সাইজের হলে দাম দুই হাজারের ওপরে।

মাছ বাজারে বিক্রেতা তুহিন বলেন, এক মাস আগের চেয়ে প্রতিটি মাছে কেজিতে ৫০-১০০ টাকা বেড়েছে। এতে আমাদের বেচাকেনা কমেছে। ব্যবসা করা কঠিন হয়ে গেছে। আরতে মাছ নাই। যা পাই চড়া দাম। ক্রেতারা নিচ্ছেন না।

সবজি, ডিমসহ বাজারের প্রায় সব জিনিয়ের দামই বেড়েছে। প্রতি কেজি সোনালী জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪১০-৪২০ টাকা। যা দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৮০ টাকা বেশি। তবে ব্রয়লার ২২০-২৩০ টাকার মধ্যে কেনা যাচ্ছে।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়