Apan Desh | আপন দেশ

‘বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখে বিদ্যুৎ, জ্বালানির দাম নির্ধারণ করা হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:৫৩, ১৮ মে ২০২৩

আপডেট: ১১:২২, ১৯ মে ২০২৩

‘বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখে বিদ্যুৎ, জ্বালানির দাম নির্ধারণ করা হবে’

ছবি : আপন দেশ

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সরকার এখন আন্তর্জাতিক বাজারের দামের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম নির্ধারণের দিকে এগোচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা বাজারভিত্তিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্যাসের দাম নির্ধারণের প্রস্তুতি নিচ্ছি। একইভাবে, বিদ্যুতের শুল্কও বাজার অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে সৌরবিদ্যুৎসংক্রান্ত কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনের পর সাংবাদিকেরা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির গৃহস্থালি গ্রাহকদের গ্যাসের দাম আবারও ৪৭ শতাংশ বাড়ানোর বিষয়ে প্রশ্ন করলে জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির প্রস্তাবনা অনুযায়ী, সিঙ্গেল বার্নার ব্যবহারকারীকে বর্তমান মাসিক বিল ৯৯০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৩৭৯ টাকা এবং ডাবল বার্নার ব্যবহারকারীকে মাসে ১ হাজার ৮০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৫৯১ টাকা দিতে হবে।

জ্বালানীমন্ত্রী বলেন, নতুন বাজারভিত্তিক মূল্য ব্যবস্থা শিগগিরই চালু করা হবে। এর অধীনে কখনো কখনো দাম তাদের আন্তর্জাতিক বাজারের দামের ভিত্তিতে বাড়বে এবং আবার কখনো কমবে। এখন গ্যাসের জন্য যে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে চায় সরকার।

এর আগে কর্মশালায় সৌরবিদ্যুৎ খাত সম্পর্কে নসরুল হামিদ বলেন, বিশ্বব্যাংক একটি সমীক্ষা চালিয়েছে; যেখানে তারা বেশ কয়েকটি এলাকা চিহ্নিত করেছে যেখান থেকে প্রায় ৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেতে পারে। আমরা বিশ্বব্যাংককে বলেছি, সরকারি ও বেসরকারি খাত একসঙ্গে কাজ করতে পারে। তারা সেখানে প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে।

তিনি বলেন, বায়ু অফশোর শক্তিকে কেন্দ্র করে একটি বিকল্প তৈরি করা হচ্ছে। সরকার একটি সমীক্ষাও চালাচ্ছে যে এই ধরনের অফশোর ও অনশোর বায়ু শক্তির সম্ভাবনা থেকে কত দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।

উপকূলের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের জন্য একটি বড় সুবিধা যে আমাদের উপকূলে অগভীর সমুদ্রের একটি বিশাল এলাকা রয়েছে, যেখানে পানির গভীরতা ৫০-৬০ মিটার।কিন্তু পরিবেশগত দিক এবং মৎস্যসম্পদও রয়েছে বলে অনেক বিষয়েই নজর দিতে হবে। বাতাস থেকে সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আগে আমাদের অনেক বিষয় বিবেচনা করতে হবে।

নসরুল হামিদ বলেন, সরকার এখন সাশ্রয়ী মূল্যে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ দিতে কাজ করছে। ‘ইউটিলিটি স্কেল সোলার’- শিরোনামের কর্মশালায় বিশ্বব্যাংকের একজন দলনেতা বলেন, ভূমি পাওয়াই একটি মূল চ্যালেঞ্জ।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক জামালপুরে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে আগ্রহী।

বিশ্বব্যাংক দলের নেতা বলেছেন, আমরা প্রকল্পের জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন তহবিল সংগ্রহ করতে পারি।

কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান এবং টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানা। 

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়