ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা: বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তি এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এবার ১২ দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) শুরু হওয়া এই কর্মসূচি চলবে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত। মাঝে তিন দিন কোনো কর্মসূচি রাখেনি দলটি। বিএনপির নতুন ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সমাবেশ, রোডমার্চ ও দোয়া মাহফিল।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অসুস্থ থাকায় তার পক্ষে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।উপস্থিত ছিলেন। এটি সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনের বিএনপির সপ্তম কর্মসূচি ঘোষণা।
বিএনপির নতুন কর্মসূচি হলো- ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা জেলার জিঞ্জিরা/কেরানীগঞ্জ এবং গাজীপুরের টঙ্গীতে সমাবেশ; ২১ সেপ্টেম্বর ভৈরব-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার-সিলেট পথে রোডমার্চ; ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও উত্তরায় সমাবেশ, একই দিনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় সারা দেশে জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দোয়া; ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল-ঝালকাঠি-পিরোজপুর-পটুয়াখালী পথে রোডমার্চ; ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরের নয়াবাজার ও ঢাকা জেলার আমিন বাজারে সমাবেশ; ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগে রোডমার্চ, একই দিনে ঢাকায় পেশাজীবী কনভেনশন।
>>> আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শর্তযুক্ত মুক্তির মেয়াদ ফের বেড়েছে
এছাড়া ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার গাবতলী ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জনসমাবেশ; ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মহিলা সমাবেশ; ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় শ্রমজীবী কনভেনশন; ১ অক্টোবর ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জে রোডমার্চ; ২ অক্টোবর ঢাকায় কৃষক সমাবেশ এবং ৩ অক্টোবর কুমিল্লা-ফেনী-মিরসরাই-চট্টগ্রাম পথে রোডমার্চ কর্মসূচি পালন তরবে বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, অপশক্তিকে দূর করার জন্য বিএনপি লগি-বৈঠার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমরা শান্তিপূর্ণ এবং গণতান্ত্রিক উপায় বিশ্বাস করি। আর আমাদের পন্থাটি শান্তিপূর্ণ। আর তা সরকার মানবে কি মানবে না এটা সরকারের বিষয়। পুরো বিশ্বের কাছে সরকারের নৈতিক পরাজয় ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। তবে আমাদের কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করেছি যেখানে মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সরকার টিকে থাকতে পারবে না।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, চিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়ার কিছু হলে এক দায়ভার সম্পূর্ণ সরকারকে নিতে হবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যিনি সবচেয়ে বেশিভূমিকা রেখেছেন, তিনি হলেন বেগম খালেদা জিয়া। ইতোমধ্যে আপনারা খবর পেয়েছেন, তিনি ক্রিটিক্যাল অবস্থায় সিসিইউতে ভর্তি। গতকালের তুলনায় আজ কিছুটা ভালো আছেন। তবে মেডিকেল বোর্ড বলছে, তার চিকিৎসার জন্য অ্যাডভান্স হাসপাতালের প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশে এমন হাসপাতাল নেই। তাই আমরা বার বার বলছি, সরকার যেন বেগম জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আমরা যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছি এতে সমমানের দলগুলোর অংশগ্রহণ করা সম্ভব হবে তারা অংশ নেবেন। আর কখন আন্দোলন কোন দিকে মোড় নেবে সেটা রাস্তায় বলে দেবে। জনগণের স্বার্থের বাইরে গেলে কোনো সরকারি টিকে থাকতে পারে না। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এই সরকারও টিকে থাকতে পারবে না।
আপন দেশ/এমএমজেড
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
