Apan Desh | আপন দেশ

রিজভীর চ্যালেঞ্জ!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:২৩, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪

রিজভীর চ্যালেঞ্জ!

ছবি: আপন দেশ

গত ১১ জানুয়ারি সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। নতুন ও টানা চারবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। তবে নির্বাচন নিয়ে এবার খোদ প্রধামন্ত্রীকেই চ্যালেঞ্জ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বলেছেন, আপনি যদি আবারো প্রমাণ চান, ৩০০ সংসদীয় নির্বাচনী আসনে শুধুমাত্র প্রার্থী আপনি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নির্বাচনে সারাদেশে তারেক রহমান যদি আপনি শেখ হাসিনার চেয়ে দ্বিগুণ ভোট বেশি না পান, তাহলে কথা দিচ্ছি, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। শেখ হাসিনাকে বলছি, সাহস থাকলে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন। দেশের অবিসংবাদিত নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে খিস্তিখেউড় বন্ধ করুন।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তার অপরিসীম ক্ষমতায় আইন-কানুন, নিয়ম-নীতি, সংবিধান, শৃঙ্খলা সবকিছু পদতলে পিস্ট করে দেশে জংলি শাসন কায়েম করেছেন। তার বক্তব্য ভ্রান্ত ও মিথ্যাা তথ্যের সমষ্টি ছাড়া কিছুই নয়। তাদের উদ্ভট কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে পেছন থেকে কেউ ধাওয়া করছে আর তারা প্রাণ বাঁচাতে দৌঁড়াচ্ছেন ঊর্ধ্বশ্বাসে।

তিনি বলেন, পূর্ব নির্ধারিত ফলাফলের ভোট গণনা শেষ না হতেই ডামি এমপিদের নামে গেজেট, শপথ গ্রহণ, মন্ত্রী পরিষদের নাম ঘোষণা, মন্ত্রীদের শপথ, চারদিনেই অভাবনীয় দ্রুততায় বিশ্ব রেকর্ড করে ভেবেছে বিপদমুক্ত হলেন শেখ হাসিনা। তাকে মনে হচ্ছে অস্থির। ভীতি-ত্রাসে তাড়াহুড়ো করে ক্ষমতা নবায়ন করার অবৈধ শপথ নিতে গিয়ে আইন-কানুন, এবং সংবিধানের কবর রচনা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ৭২ (৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে, রাষ্ট্রপতি আগে ভেঙে না দিয়ে থাকলে প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে পাঁচ বছর অতিবাহিত হলে সংসদ ভেঙে যাবে। যেহেতু রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেননি, তার মানে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত একাদশ সংসদের যারা সংসদ সদস্য ছিলেন, তারা সংসদ সদস্য হিসেবে আছেন।

আইন বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে রিজভী বলেন, এই মুহূর্তে দেশে মিডনাইট একাদশ সংসদের ৩৫০ জন। আর ডামি দ্বাদশ সংসদের ২৯৮ জনসহ মোট ৬৪৮ জন শপথবদ্ধ এমপি রয়েছেন। এখন রাষ্ট্রপতি সংসদ ডাকলে দুই সংসদের সদস্যরাই তাতে যোগ দিতে পারেন। অথচ এটি সাংবিধানিকভাবে অবৈধ। আগামী ২৯ জানুয়ারি একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়া অবধি এই অরাজকতা থাকবে। এটি একটি চরম সাংবিধানিক লঙ্ঘন। গণতন্ত্র ও দেশের স্বার্থে এই সময়ের মধ্যে দ্বাদশ অবৈধ সংসদ বাতিল করে দিতে পারে উচ্চ আদালত। জনগণের প্রত্যাশা শেষ আশ্রয়স্থল আদালত তাদের যুগান্তকারী ভূমিকা নিতে পারে।

তিনি বলেন, বর্তমানে দুটি সংসদ বহাল অর্থাৎ প্রতি আসনে এখন দু’জন করে এমপি! সত্যিই সেলুকাস, কী বিচিত্র এই দেশ বানিয়েছেন শেখ হাসিনার ক্ষমতার লালসা। সংবিধান বিচ্যুত অবৈধ পন্থায় অবৈধ শপথে অবৈধভাবে জন্ম নেয়া, অবৈধ সংসদের অবৈধ কার্যক্রম এবং অবৈধ মন্ত্রী পরিষদের কোন অন্যায্য আদেশ-নির্দেশ জনগণ মানতে বাধ্য নয়। এই কারণেই আওয়ামী লীগের গোটা শাসনামল দুর্নীতি, মহা হরিলুট, মহা সম্পদ পাচার ও মহা মাফিয়া চক্র কবলিত।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়