Apan Desh | আপন দেশ

ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ের উপকারিতা 

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৪৮, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ের উপকারিতা 

ছবি: সংগৃহীত

আল্লাহ তা’আলা আদম (আ.)-কে সৃষ্টির পর হাওয়া (আ.)-কে তার জীবনসঙ্গীনি হিসেবে সৃষ্টি করেন। তাদের বিয়ের মাধ্যমে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন। সেই ধারাবাহিকতা এখনো পৃথিবীতে চলমান। আর তাই তো নারী ছাড়া পুরুষ এবং পুরুষ ছাড়া নারীর জীবন অসম্পূর্ণ। নারী-পুরুষ সৃষ্টিগতভাবেই একে অপরের পরিপূরক।

পবিত্র কোরআনে রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তা’আলা বলেন,

وَمِنْ آيَاتِهِ أَنْ خَلَقَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِّتَسْكُنُوا إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُم مَّوَدَّةً وَرَحْمَةً إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ

অর্থ: ‘আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গীনিদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে’। (সূরা: রুম, আয়াত: ২১)

এবার আমরা জেনে নেই ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়েতে আরও যেসব উপকারিতা রয়েছে-

> গুনাহ থেকে নিজেকে সংবরণ করার মাধ্যমে নারী-পুরুষ উভয়ের ঈমান ও সতীত্ব রক্ষা করতে পারে।

> নারী জাতির তত্ত্বাবধান ও রক্ষণাবেক্ষণ হয়।

> নারীর সম্মানজনক জীবন-জীবিকা সহজ হয়।

> পুরুষ একজন আমানতদার নির্ভরযোগ্য সঙ্গিনী লাভ করে।

> বৈধ পন্থায় মানববংশের বিস্তার হয়।

> সৃষ্টিগত ও স্বভাবজাত যৌনচাহিদা পূরণের বৈধ ও নিরাপদ ব্যবস্থা।

> নারী-পুরুষ উভয়ের মানসিক স্বস্তি, তৃপ্তি ও প্রফুল্ল অর্জন হয়।

> নবী মোহাম্মদ (সা.)-সহ সব নবীর একটি মহৎ সুন্নতকে বাস্তবায়ন করা হয়। (সহিহ মুসলিম: ১৪০০)

> মানবশিশু তাদের প্রকৃত পরিচয় লাভ করে এবং সঠিক লালন-পালন ও পৃষ্ঠপোষকতা পায়।

> বিয়ের দ্বারা রিজিকে বরকত ও জীবনে প্রাচুর্য আসে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা বিয়ে করো, স্ত্রীরা স্বীয় ভাগ্যে তোমাদের কাছে সম্পদ টেনে আনবে’। (মুসনাদে বাজ্জার: ১৪০২)।

> অবিবাহিত থাকলে মানসিক বা শারীরিক রোগ ও জটিলতা তৈরির আশঙ্কা থাকে।

> বিয়ের মাধ্যমে অবৈধ যৌনতা, এইডসের মতো মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার পথ বন্ধ হয়।

> বিয়ের মাধ্যমে নারী-পুরুষ অবৈধ যৌন সম্পর্ক থেকে রক্ষা পায়।

> বিয়ে মানুষকে সংসারী করে। ফলে পুরুষরা দায়িত্ব সচেতন ও কর্মমুখী হয়। ভোগের মানসিকতা দূর হয়। তদ্রুপ নারীরাও দায়িত্বসচেতন ও বাস্তবমুখী হয়।

> স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে উৎসাহ দিয়ে সুন্দর পৃথিবী বিনির্মাণের পথ সুগম করে। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নবুয়ত লাভের সময় আকস্মিক ওহিপ্রাপ্তিতে ভয় পেলে হযরত খাদিজা (রা.) তাকে অভয় দেন এবং তার পাশে থাকার ঘোষণা দেন। 

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়