Apan Desh | আপন দেশ

গাঁজা পাতায় পাট দিবসের প্রচারণা!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:২৩, ৭ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ২০:৪৮, ৭ মার্চ ২০২৩

গাঁজা পাতায় পাট দিবসের প্রচারণা!

ছবিতে: হলুদ দাগে আবৃত পাটপাতা (বামে) এবং লাল দাগে আবৃত মন্ত্রণালয়ের পোষ্টারে ব্যবহৃত গাঁজাপাতা (ডানে)।

পাটের সুদিন ফেরানোর লক্ষ্যে বছরের ৬ মার্চ জাতীয় পাট দিবস পালন হয়। দিবসটি ঘটা করে পালনের জন্য রাষ্ট্রের খরচ হয় কোটি টাকা। প্রথম দিবসের স্লোগান ঠিক হয়েছে- ‘সোনালি আঁশের সোনার দেশ/পাট পণ্যের বাংলাদেশ’। অতীতে বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য ছিল পাট; তাই একে বলা হয় ‘সোনালি আঁশ’। 

পাটের সেই দিন ফেরানোর লক্ষ্যে আয়োজিত জাতীয় পাট দিবসের প্রচারে ব্যানার-পোস্টারে যে পাতার ছবি দেয়া হয়েছে, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি। যে পাতার ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে তা পাট পাতা নয়, মূলত নিষিদ্ধ ও নেশাজাতীয় গাছ গাঁজা গাছের পাতা।

মন্ত্রণালয়ের প্রচারে যে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, তা পাট পাতার নয় বলে নিশ্চিত করেছেন পাটের জিন বিন্যাস আবিষ্কারের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হাসিনা খান। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই পাতাকে ‘এক ধরনের পাট পাতা’ বলে দাবি করা হলেও উদ্ভিদ বিজ্ঞানের দুজন গবেষক তা নাকচ করেছেন।

ছবিতে মাটিতে চাষ করা পাট গাছের পাতা

পাটের জিন বিন্যাস আবিষ্কারের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানী ড. হাসিনা খান বলেছেন, এটা কোনোভাবেই পাট পাতা নয়।

সোমবার (৬ মার্চ) রাজধানীর বিজয় সরণী মোড়ে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সৌজন্যে ফেস্টুন চোখে পড়ে। তাতে পাটজাত পণ্যের সঙ্গে রয়েছে সবুজ পাতার ছবি। সেখানে খাঁজ কাটা ও ডাটা (ডাল) সবুজ পাতা দেখে পথচারীদের অনেকেই এটা পাট পাতা কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। কয়েকজন পথচারী মন্তব্য করেন, এটি পাটের পাতা নাকি গাঁজা গাছের পাতা?

(মাটিতে চাষ করা গাঁজা গাছের পাতা )

জানা যায়, পাটের পাতা সরল ও একক; আঙুলের মতো এমন ছেঁড়া ছেঁড়া নয়। এ দুই ধরনের পাটের পাতার কোনোটাই এ ছবিতে ব্যবহার করা হয়নি। দেশে প্রধানত দুটি প্রজাতির পাটের চাষ হয়। এর মধ্যে একটির পাতা মিষ্টি, আরেকটার পাতা তিতা। সাধারণ মানুষের কাছে দেশি ও তোষা এই দুই ধরনের পাট পরিচিত।

সংশ্লিষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মরত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কাজটি ভুল-শুদ্ধ, পাট নাকি গাঁজা পাতা তা নিয়ে মন্তব্য করব না। তবে পুরো ইভেন্ট কাভার করার জন্য ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়া হয়ে থাকে। যাকে গুণতে হয় কোটি টাকার মতো। তবে এগুলো তো দেখভালের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাউকে না কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যে কাজটি হয়েছে তাতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে মনে করি। 

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়