Apan Desh | আপন দেশ

ব্রাজিলকে হারাল মরক্কো

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:১৫, ২৬ মার্চ ২০২৩

ব্রাজিলকে হারাল মরক্কো

ছবি : সংগৃহীত

কাতার বিশ্বকাপ ছিল মরক্কোর জন্য স্বপ্নময় এক টুর্নামেন্ট। বেলজিয়াম, স্পেন, পর্তুগালের মতো ভালো দলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে চলে গিয়েছিল আফ্রিকার দেশটি। বিপরীতে বিশ্বকাপ জয়ের হেক্সা মিশনে এসে ব্রাজিল থমকে গিয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনালে।

বিশ্বকাপে এমন ব্যর্থতার পর প্রথমবার মাঠে নেমে প্রীতি ম্যাচে মরক্কোর কাছে হেরে গেল ব্রাজিল। রোববার (২৬ মার্চ) ভোর ৪টায় তাঞ্জিয়ারে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মরক্কো  ২-১ গোলে হারিয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।

চোটের কারণে ম্যাচে ছিলেন না ব্রাজিলের সেরা তারকা নেইমার। অনূর্ধ্ব-২০ কোপা আমেরিকাজয়ী দলের কোচ রেমন মেনেজেস তরুণ অস্ত্র পরীক্ষা করেছেন। কিন্তু ছন্নছাড়া ফুটবল খেলে হারতে হয়েছে সেলেসাওদের।

ম্যাচে বল দখল আর শটের হিসাবে কিছুটা এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। তবে নিজেদের মাঠে মরক্কোও কম যায়নি। তারা ১১ শটের তিনটি লক্ষ্যে রাখে, যার দুটিই হয়েছে গোল। অন্যদিকে ১৪ শট নিয়ে চারটি লক্ষ্যে রাখা ব্রাজিল গোল করেছে একটি।

আরেকটি কারণেও মরক্কোর বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল বিশেষ। কিংবদন্তি পেলের মৃত্যুর পর এই প্রথম ব্রাজিলের মাঠে নামা। ম্যাচের শুরুতে তাই পেলেকে স্মরণ এবং প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জার্সির পেছনেও ছিল ফুটবল-রাজার নাম। এসব উপলক্ষ্যও ব্রাজিলকে উজ্জীবিত করতে পারেনি!

ম্যাচের শুরু থেকেই তুলনামূলক বেশি গতিসম্পন্ন ছিল মরক্কো। ব্রাজিলিয়ানদের থেকে বল কেড়ে নিয়ে দ্রুতই তারা আক্রমণে উঠছিল বারবার। এতে ম্যাচের মাঝপথে দু’দলের খেলোয়াড়রা একাধিকবার ঝামেলাও বাঁধিয়েছে। অবশ্য ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগ তৈরি করে ব্রাজিল। ১৩ মিনিটে লুকাস পাকুয়েতার থ্রু বল পেয়ে কাছ থেকেও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি রনি।

মিনিট দশেক পর মরক্কো গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনুর ভুলে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল ব্রাজিল। আন্দ্রে সান্তোসের শট এগিয়ে আসা বুনুর হাত ফসকে পেছনে গোলমুখের দিকে চলে যাচ্ছিল। শেষমুহূর্তে পেছনে গিয়ে বল নিয়ন্ত্রণে নেন তিনি। এর দুই মিনিট পরই অবশ্য বল জালে পাঠান ভিনিসিয়াস জুনিয়র। তবে আক্রমণ তৈরির সময় অফসাইডের কারণে গোল বাতিল হয়।

২৯ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে যায় মরক্কো। বিলাল এল খাননুসের কাছ থেকে বল নিয়ে দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন বুফাল। ৩৬ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ ছিল রদ্রিগোর সামনে। নেইমারের অনুপস্থিতিতে দশ নম্বর জার্সি পরা এই ফরোয়ার্ড শট লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন। 

দ্বিতীয়ার্ধে নেমেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না পিছিয়ে পড়া ব্রাজিল। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে পৌঁছে তাদের অপেক্ষা পুরোয়। তবে এতে মরক্কো গোলরক্ষকেরও ভূমিকা ছিল। তার ভুলের ফলে বক্সের বাইরে বল কয়েক পা ঘুরে অধিনায়ক ক্যাসেমিরোর কাছে যায়। তার শট বুনুর নাগালেই ছিল। ঝাঁপিয়ে বলের নাগাল পেলেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি।

সমতা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি মেনেজেসের দল। মরক্কোর আক্রমণ আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে ৭৯ মিনিটে ওয়ালিদ ছেদদিরার কাছ থেকে বল পেয়ে হাফ-ভলিতে বল জালে পাঠিয়ে দেন সাবিরি। গোলরক্ষক ওয়েভারটনের দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না। দীর্ঘদিন ব্রাজিলের প্রধান গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারের জন্য পরবর্তী গোলরক্ষকরা সুযোগ পাচ্ছিলেন না। মাঝেমধ্যে ম্যানসিটি কিপার এডারসন মাঠে নামলেও ওয়েভারটনের জন্য সেটিও অসম্ভব হয়েছিল।

হারের একরাশ হতাশা নিয়েই শেষপর্যন্ত মাঠ ছাড়তে হয়েছে সেলেসাওদের। অধিনায়ক ক্যাসেমিরো এবং ভারপ্রাপ্ত কোচ মেনেজেসের আপাত অধ্যায়টাও শুরু হল বিবর্ণতায়।

আপন দেশ/আরএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ