ছবি: সংগৃহীত
পৃথিবীতে এক হাজারেরও বেশি প্রজাতির কলা আছে। প্রায় সব মৌসুমেই কলা পাওয়া যায়। সহজলভ্য ফলটি যেমন সস্তা তেমনই পুষ্টিগুণে ভরপুর। কখনও মনে এমন প্রশ্ন এসেছে যে, কলা কেন বাঁকা হয়? সোজা হয় না কেন? নাকি শুধু পাকা কলাই বাঁকা হয়?
এমন তো আর কোনও ফল নেই যারা গাছেই বেঁকে যায়। তাহলে কলাই কেন সোজা না হয়ে বেঁকে যায়? সব কিছুর পিছনেই কোনও না কোনও কারণ থাকে।আর আসলে কলার বাঁকা হওয়ার পিছনেও একটি বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে যা অনেকেরই অজানা।
গাছে কলাগুলি বড় হওয়ার সময় ধীরে-ধীরে বাঁকতে থাকে। এক কারণকে বিজ্ঞানের ভাষায় নেগেটিভ জিওট্রপিজম বলা হয় কী এই নেগেটিভ জিওট্রপিজম? যখন সূর্যের দিকে কোনও ফল বেড়ে ওঠে তখন তাকে নেগেটিভ জিওট্রপিজম বলা হয়।
গাছের ফলের বৃদ্ধি ফটোট্রপিজম, গ্র্যাভিটিজম ও অক্সিনের উপর নির্ভর করে। সে হিসেবে অন্যান্য বৃক্ষ বা ফলের মতো কলার পাতা ও ফল গ্র্যাভিটির জন্য নিচের দিকে ঝুলে থাকে। কিন্তু কলা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের আলোর দিকে বাড়তে শুরু করে, যার কারণে কলার আকৃতি বাঁকা হয়ে যায়। ঠিক যেমন সূর্যমুখী ফুল সবসময় সূর্যের আলোর দিকে থাকে, কলার ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়। যেহেতু কলা গাছ রোদ কম পায় তাই সূর্যের আলো পাওয়ার জন্য কলার কুড়ি থেকে ফল গ্র্যাভিটির দিকে বৃদ্ধি পায়।
প্রথমে মাটির দিকে, তারপর আকাশের দিকে বাড়তে থাকায় কলার আকার বাঁকা হয়ে যায় পৃথিবীতে এক হাজারেরও বেশি প্রজাতির কলা আছে। তবে সেই সব কলার মধ্য়ে বেশিরভাগ কলাই বাঁকা সোজা কলা পাওয়া যায় না এ ধারণা একেবারেই ভুল। এমন অনেক প্রজাতির কলা আছে, যেগুলি সূর্যের দিকে বাড়ে না। অর্থাৎ ওদের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নেগেটিভ জিওট্রপিজমের কোনও ভূমিকা নেই।
আপন দেশ/এবি/ সূত্র: নিউজ এইটিন
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।