Apan Desh | আপন দেশ

ঈদের কেনাকাটায় উপচে পড়া ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:৩২, ৬ এপ্রিল ২০২৪

ঈদের কেনাকাটায় উপচে পড়া ভিড়

ছবি : সংগৃহীত

ঈদুল ফিতরের কেনাকাটায় মুখর রাজধানী। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতারা উৎসাহ নিয়ে প্রয়োজনীয় বস্ত্রসহ নানাকিছু দাম করছেন। পছন্দ হলে কিনছেন। তবে জিনিসপত্র বেশি দাম বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। 

ঈদের ঠিক আগে ও ছুটির দিন হওয়ায় শপিং মল ও বিপণি বিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। জুমার নামাজের পর থেকেই মার্কেটগুলোর সামনের ফুটপাথ থেকে শুরু করে মূল দোকানে বাড়তে থাকে ক্রেতা সমাগম। ইফতারের পর যেন এসব এলাকায় পা ফেলার জায়গা ছিল না। 

ঢাকায় এদিন দুপুরে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপ অনুভূত হয়েছে। এই তীব্র তাপপ্রবাহ মাথায় নিয়েও ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত দেখা গেছে নগরবাসীকে। আর ঈদ কেনাকাটা নির্বিঘ্ন করতে মার্কেটে মার্কেটে বুথ বসিয়ে বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে পুলিশ।

সরেজমিন দেখা যায়, নিজের পছন্দের পোশাক কিনতে এক মার্কেট থেকে আরেক মার্কেটে ছুটে যান ক্রেতারা। এদিকে ক্রেতাদের সন্তুষ্ট করতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেননি বিক্রেতারাও। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বিশেষ মূল্যছাড়ও দিচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান।

বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের আর বেশি দিন বাকি নেই। শুক্রবার ছিল ঈদের আগের সর্বশেষ সাপ্তাহিক ছুটি, ফলে কেনাবেচা কয়েক গুণে বেড়েছে। বিশেষ করে ঈদের ছুটিতে যেসব মানুষ ঢাকা ছাড়বেন তারা কেনাকাটা করছেন। ফলে মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের অনেক চাপ দেখা গেছে। এখন থেকে নিয়মিত এমনই থাকবে। একদম চাঁদ রাত পর্যন্ত লোকজন কেনাকাটা করবে।

আরও পড়ুন <> ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের প্রস্তাব পাস

বেইলি রোডে ঈদের কেনাকাটা করতে আসেন মগবাজারের বাসিন্দা তাহমিনা সালমা ও রুহুল আমিন। তারা জানান, দুজনেই চাকরি করেন তাই ছুটির দিনটিকে শপিংয়ের জন্য বেছে নিয়েছেন। তবে গরম একটু বেশি হওয়ায় হাসফাস করেন তারা। এ ছাড়া পরিধেয় বস্ত্রের দাম একটু বেশি বলে অভিযোগ করেন তার।

তাহমিনা সালমা বলেন, ঈদের তো আর বেশি দিন বাকি নেই। আমরা চাকরি করি সময়ও পাই না। অনেক আগে থেকেই আমরা পরিকল্পনা করে রেখেছি আজকে মার্কেটে আসব। জুমার নামাজের পর এসেছি। এখন ঘুরে ঘুরে দেখছি। পাঞ্জাবি আগে দেখব।

ইস্ট্রার্ন প্লাজায় মেহেরুন্নেসা সিনথিয়া নামে এক ক্রেতা বলেন ,ছুটির দিন বলে আজ এসেছি। বাবা ও মায়ের জন্য কাপড় কেনা হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত নিজের কাপড় কেনা হয়নি। তিন ঘণ্টা ধরে আছি মার্কেটে, পা ব্যথা করছে। 

সুবাস্তু নজর ভ্যালি মার্কেটে গিয়ে কথা হয় নজরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, অফিস থাকায় সপ্তাহের অন্যান্য দিনে মার্কেটে আসতে পারি না। আজ ছুটির দিন বলে আসতে পেরেছি। সবার জন্য কেনাকাটা করেছি। তবে আজ মার্কেটে মানুষের অনেক ভিড়, তাই ঘুরতে একটু কষ্ট হয়েছে।

বসুন্ধরা শপিল মলের একজন বিক্রয়কর্মী জানান, দুপুরের পর থেকে মার্কেটে প্রচুর ক্রেতা আসছেন। সন্ধ্যার পর থেকে তো একটু বিশ্রামেরও সুযোগ পাওয়া যায়নি। এই রমজানে আজকেই মনে হয় সর্বোচ্চ ক্রেতারা আসছেন।

নিউমার্কেটে আসা ক্রেতা আঞ্জুমা খাতুন বলেন, তীব্র গরমে কষ্ট হচ্ছে, তবু কী কী করার আছে। মার্কেটে তো আসতে হবেই। বাচ্চাসহ সবার জন্য কেনাকাট লাগে।

আরেক ক্রেতা শিমুল শাহারিয়ার বলেন, আমি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি, ছুটি পেতে আরও দুই-তিন দিন। শুক্রবার ছিল, তাই স্ত্রীকে নিয়ে আসলাম। দাম মোটামুটি আছে। কিন্তু গরম অনেক বেশি। বাধ্য হয়েই আসা। আর তো সময় বেশি নাই।

কাপড় কিনতে আসা রাসেল খন্দকার বলেন, ঈদের আগে কেনাকাটা করা বেশ ঝামেলার। তবু আসতে হয়েছে। ছুটির দিন, এজন্য এসেছি।

নিউমার্কেটের দোকানগুলোতে ক্রেতা সমাগমের পাশাপাশি রাস্তায় ফুটপাতে থাকা দোকানেও ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। মার্কেটের তুলনায় ফুটপাতের দোকানে জিনিসপত্রের দাম কম থাকায় এখানে অনেকেই কেনাকাটা সারছেন। এমন চিত্র রাজধানীর অনেক এলাকায়।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বরাবরের মতো এবার পাঞ্জাবির চাহিদা শীর্ষে। গরমের বিষয় মাথায় রেখে আরামদায়ক অন্যান্য পোশাকেও নজর বেশি ক্রেতাদের। বিক্রেতারাও নিয়ে এসেছেন আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পোশাক।

আপন দেশ/এমআর

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়