রিমান্ড শেষে আমীর খসরু-স্বপন কারাগারে

ঢাকা: রাজধানীর নয়াপল্টনে গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ ঘিরে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ (৩২) নিহতের ঘটনায় পল্টন মডেল থানায় করা মামলায় রিমান্ড শেষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) তাদের ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তাদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। পরে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মো. তরীকুল ইসলাম। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রশিদুল আলম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত ৩ নভেম্বর সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও সাবেক ছাত্রনেতা জহির উদ্দিন স্বপনকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ওইদিন শুনানি শেষে আদালত তাদের ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে দুপুরে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে পুরিমী হস্তক্ষেপে সেই মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।

সংঘর্ষ চলাকালে ফকিরাপুলের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় মাথায় আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়ে যান দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য আমিরুল। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমিরুলের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায়।

এ ঘটনায় ২৯ অক্টোবর পল্টন মডেল থানায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাসুক মিয়া বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান আসামি করা হয়।

এছাড়া বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ ১৬৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার উল্লেখযোগ্য বাকি আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আপন দেশ/এমএমজেড