Apan Desh | আপন দেশ

বিচ্ছেদের কারণ হতে পারে পুরুষের যে ভুলে

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:২১, ৭ জুলাই ২০২৩

আপডেট: ১৯:১৯, ৭ জুলাই ২০২৩

বিচ্ছেদের কারণ হতে পারে পুরুষের যে ভুলে

ফাইল ছবি

দাম্পত্যের শুরুর দিনগুলো একদম চির বসন্তের হয়ে আসে প্রায় সবার জীবনে। কখনো কখনো কারও জীবনে তা আলাদা হয়। এই সময় একে অপরকে ছাড়া এক দণ্ড থাকাও তখন যাতনার সমান। এই সোনালি দিনগুলোতে সবকিছুর উপরে স্থান পায় ভালোবাসা।

তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেশিরভাগ দম্পতির ক্ষেত্রেই তা পরির্বন হয়। অনেক ক্ষেত্রে প্রেমের রং ফিকে হতে শুরু করে। আর সেই জায়গায় অভিমানের রং চড়তে থাকে। দাম্পত্যে দূরত্ব তৈরি হতেই পারে। তবে একটু সতর্ক হয়ে ঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিলেই এই দূরত্ব মিটিয়ে ফেলা সম্ভব। তবে এই কাজে বাধ সাধে ‘মেইল ইগো’।

এমন পরিস্থিতিতে অধিকাংশ পুরুষই সম্পর্কের পরিচর্যার পরিবর্তে ভুলের পর ভুল করতে শুরু করে দেন। আর সেই কারণেই নারীদের মনেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। তারপর দাবানলের আকার নিয়ে সম্পর্ক শেষ করে দেয়।

তাই এই ধরনের ভুলের ফাঁদ থেকে নিজেকে দূরে রাখাটাই হল বুদ্ধিমানের কাজ। এমনই কিছু ভুলের কথা তুলে ধরা হয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের এক প্রতিবেদনে।

প্রতিদিনকার চিৎকার: অফিসের বা বাইরের ঝামেলার ঝাল স্ত্রীর উপরে বের করার অভ্যাস অনেক পুরুষেরই রয়েছে। এ অভ্যাস একদিন দুইদিন করলেন। তবে তিনদিন নয়। 

জেনে রাখুন, আজকালকার নারীরা কিন্তু আপনার প্রতিদিনের হতাশার ধার ধারেন না। তাই প্রতিদিন বাড়ি ফিরে স্ত্রীর উপর সব হতাশা বের করলে তিনিও কিন্তু ছেড়ে কথা বলবেন না। বরং এই ধরনের অভব্য ব্যবহার তাকে ডিভোর্সের কথা ভাবতেও বাধ্য করতে পারে।

শারীরিক সম্পর্কে কি ইতি পড়েছে: দাম্পত্যের ভিতকে শক্তপোক্ত রাখতে চাইলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক থাকতেই হবে। নইলে ধীরে ধীরে পরস্পরের মাঝে তৈরি হবে এক অসীম শূন্যতা। এমনকী এই পরিস্থিতিতে ডিভোর্স পর্যন্তও কথা এগতে পারে। তাই আপনাদের মধ্যে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা না থাকলে আজই এগিয়ে এসে সম্পর্কে উষ্ণতার প্রদীপ জ্বালান। তাহলেই ফের দাম্পত্য গাড়ি মসৃণ গতিতে এগিয়ে যাবে।

স্ত্রী আপনার সম্পত্তি নন: অনেক পুরুষই স্ত্রীকে নিজের সম্পত্তি বলে মনে করেন। তারা স্ত্রীর সব বিষয়ে নাক গলান। এমনকী তাদের গতিবিধির উপরও জারি করেন বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা। জেনে রাখুন, আপনার এমন মুঘলে আজম যুগের আচরণ কিন্তু এখন আর চলবে না। স্ত্রীকে বেঁধে রাখার, তাদের নিয়ন্ত্রণ করার যুগ কিন্তু পেরিয়ে গেছে। তাই এখনকার নারীদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করলে তিনি সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে একবিন্দুও সময় নষ্ট করবেন না। সুতরাং যত শিগগিরই সম্ভব এই ধরনের মানুষিকতা থেকে দূর করুন।

আমিত্বই সংসারকে শেষ করে দেয়: আজকালকার দিনে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে চাইলে নিজের ঢাক নিজেকেই পেটাতে হবে। নইলে পাত্তা পাওয়া তো দূর, কেউ আপনাকে পুছেও দেখবেন না। তবে সব জায়গায় আমি, আমি করে ওঠাটা ঠিক নয়। বিশেষত, স্ত্রীর সামনে যদি সারাক্ষণ নিজের আমিত্বকে তুলে ধরার চেষ্টা চালান, তাহলে সে গুড়ে বালি দিন! কারণ এমনটা করলে অন্যদিকের মানুষটি হীনমন্যতায় ভুগতে পারেন। আর সেই কারণেই তিনি আপনার থেকে আলোকবর্ষ দূরে চলে গেলেও যেতে পারেন। তাই স্ত্রীর থেকে সবসময় ক্রেডিট ছিনিয়ে নেয়ার অভ্যাসটা এবার ছাড়ুন। বরং সংসারের ভালো চাইলে তাকে ছোট ছোট কাজের জন্য বাহবা দিন। এতেই দেখবেন স্ত্রীর মনে আপনার জন্য ভালোবাসা উথলে পড়বে।

সব কিছুতেই স্ত্রীর বাবার বাড়ির দোষ: কিছু পুরুষ সব বিষয়েই স্ত্রীর বাবা-মাকে দোষ দেন। তাদের নিয়ে যা নয় তাই কথা বলেন। আর এই ধরনের কথা সরাসরি গিয়ে স্ত্রীর মনে আঘাত করে। ক্ষতবিক্ষত হয় তার হৃদয়। আর এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটতে থাকলে তিনি স্বামীকে ডিভোর্স দেয়ার সংকল্প করে ফেলেন। তখন শত বুঝিয়েও তার ভালোবাসা আর ফেরত পাওয়া যায় না।

আপন দেশ/জেডআই

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়