Apan Desh | আপন দেশ

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চায় না আবরারের পরিবার

বুয়েট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:৪৯, ২ এপ্রিল ২০২৪

আপডেট: ১৩:০৬, ২ এপ্রিল ২০২৪

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চায় না আবরারের পরিবার

পুরোনো ছবি

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ছাত্র রাজনীতিতে আলোচিত নাম আবরার ফাহাদ। এ নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অনেক শিক্ষার্থীর আবেগ। ২০১৯ সালে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের কর্মীরা। ওই হত্যাকাণ্ডের পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়।

ওই ঘটনার ৪ বছর অতিবাহিত না হতেই ফের বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ফিরতে যাচ্ছে। তবে, সেখানে নতুন ক‌রে ছাত্র রাজনী‌তি চালুর বিপ‌ক্ষে মত দি‌য়ে‌ছেন আবরার ফাহা‌দের বাবা বরকত উল্লাহ।

সংবাদ মাধ্যমকে আবরারের বাবা ব‌লেন, ছাত্র রাজনী‌তি শুরু হ‌লে এখন বু‌য়ে‌টের যে প‌রিবেশ আছে তা বি‌ঘ্নিত হ‌বে। আমি আমার এক ছে‌লে‌কে হা‌রি‌য়ে‌ছি। আরেক ছে‌লেকে সেখা‌নেই (বু‌য়ে‌টে) ভ‌র্তি ক‌রে‌ছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই না বু‌য়ে‌টে আবারও ছাত্র রাজনী‌তি চালু হোক। আমার স্ত্রী ও জীবিত যে ছেলে আছে তাদেরও একই দা‌বি।

আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগে ভর্তি হ‌য়ে‌ছেন। ঈদের ছু‌টি‌তে এসে কু‌ষ্টিয়া শহ‌রের বা‌ড়ি‌তে অবস্থান কর‌ছেন তিনি। সোমবার (১ এপ্রিল) বিকেল তার সঙ্গে‌থে কথা হয় স্থানীয় সাংবাদিকদের।

বু‌য়ে‌টে আবারও ছাত্র রাজনী‌তি চালুর তোড়‌জোড় চল‌ছে, ছাত্র হি‌সে‌বে আপনি কি চান? এমন প্রশ্নের জবা‌বে আবরার ফাইয়াজ ব‌লেন, ‘পঞ্চাশজন ছাত্র রাজনী‌তি চাই না, আর পাঁচজন চাই। অথচ এ পাঁচ জ‌নের মতামত‌কে বে‌শি গুরুত্ব দেয়া হ‌চ্ছে। যারা ক্যাম্পাসে রাজনী‌তি চা‌চ্ছেন, তারা কি আর কাউকে মারার আগে দ্বিতীয়বার ভাব‌বে, ভাব‌বে না।

আরও পড়ুন>> বুয়েট শিক্ষার্থীরা চান আইনি লড়াই

ছাত্র রাজনী‌তির অনুম‌তি দেয়া মা‌নে তা‌দের‌কে এক ধর‌নের ইন‌ডেম‌নি‌টির ব্যবস্থা ক‌রে দেয়া। যা‌তে এরপর থে‌কে আর কেউ প্রতিবাদ করার সাহস না পাই।’ 

আবরার ফাহাদ ছিলেন ফাইয়াজের একমাত্র ভাই। তাদের বাড়ি কুষ্টিয়া শহরে। তাদের বাবা বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র ছিলেন।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বাদী হয়ে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ২০ নেতাকর্মীকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সাজাপ্রাপ্তরা সবাই বুয়েটের ছাত্র ছিলেন।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়