Apan Desh | আপন দেশ

লবণ উৎপাদনে ৬২ বছরের রেকর্ড, আছে সিন্ডিকেট ভীতিও

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০১:০৯, ২৭ এপ্রিল ২০২৩

আপডেট: ১১:৪২, ২৭ এপ্রিল ২০২৩

লবণ উৎপাদনে ৬২ বছরের রেকর্ড, আছে সিন্ডিকেট ভীতিও

ফাইল ছবি

বাংলাদেশে লবণ উৎপাদন এবার ৬২ বছরের রেকর্ড গড়েছে। দেশে লবন উৎপাদনের পর থেকে মধ্যে চলতি মৌসুমে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ উৎপাদন হয়েছে। যার পরিমাণ ১৮ লাখ ৩৯ হাজার টন।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ২০ লাখ টনের বেশি উৎপাদন  সম্ভব হবে বলে বিসিকের আশা। লবণ শিল্পের উন্নয়ন কর্মসূচির নানামুখি উদ্যোগে চাষীদের আগ্রহ বাড়ছে,লবন চাষের জমিও বাড়ছে। ১৯৬১ সাল থেকে বিসিকের মাধ্যমেই দেশে পরিকল্পিতভাবে লবণ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়।  

বিসিক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত মঙ্গলবার ১০ হাজার ৯৩০ টন লবণ উৎপাদনের মাধ্যমে চলতি মৌসুমে মোট লবণ উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ লাখ ৩৯ হাজার টন। যা ৬২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত বছর উৎপাদন হয় ১৮ লাখ ৩২ হাজার টন। চলতি মৌসুমে চাষের জমির পরিমাণ ৬৬ হাজার ৪২৪ একর। গত বছরের তুলনায় চাষের জমি বেড়েছে তিন হাজার ১৩৩ একর। চলতি লবণ মৌসুমে লবণ উৎপাদন চলমান রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ২০ লাখ টনের বেশি উৎপাদন  সম্ভব হবে। 

আরও জানুন<>সিন্ডিকেটের থাবা লবনে, হঠাৎ দরপতন চাষীরা শঙ্কায়

বিসিক জানায়, বর্তমানে কক্সবাজারে অবস্থিত বিসিকের লবণ শিল্পের উন্নয়ন কর্মসূচি কার্যালয়ের আওতাধীন ১২টি লবণ কেন্দ্রের মাধ্যমে কক্সবাজারের সব উপজেলায় এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে লবণ চাষের জন্য চাষিদের প্রশিক্ষণ, ঋণ প্রদান এবং প্রযুক্তি সম্প্রসারণসহ সার্বিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। লবণ আমদানি না করে দেশে উৎপাদনের মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে চলতি লবণ মৌসুমে এক মাস আগেই লবণ চাষিদেরকে মাঠে নামানো হয়। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, লবণ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী আধুনিক পদ্ধতিতে লবণ চাষিদেরকে অগ্রিম লবণ চাষে উদ্বুদ্ধ করা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া, লবণ চাষের নতুন এলাকা চিহ্নিত করা, সহজ শর্তে লবণ চাষিদের ঋণ প্রদান, লবণ উৎপাদন, মজুদ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়মিতভাবে মনিটরিংসহ নানা উদ্যোগ রয়েছে।

এদিকে হঠাৎ দরপতনে লবণ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত ৪০ হাজার প্রান্তিক চাষিসহ প্রায় এক লাখ শ্রমজীবী মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তবে লবণ মিলমালিকেরা বলছেন, মাঠপর্যায়ে প্রতি মণ লবণের দাম ২৫০ টাকা হলেও তারা (মিলমালিক) লবণ কিনছেন ৩৬০ টাকা দরে। এ ক্ষেত্রে ১১০ টাকার মুনাফা মধ্যস্বত্বভোগী ও দাদন ব্যবসায়ীদের পকেটে চলে যাচ্ছে।

উৎপাদন বেশি হলেও প্রান্তিক চাষীরা দাম নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। প্রতি বছরই লবনের দাম নিয়ে তেলেসমাতিকারবার করে আড়ততদাড় ও সিন্ডিকেট। 

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়