Apan Desh | আপন দেশ

সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক-পুলিশ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ২

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:১১, ২ মে ২০২৪

আপডেট: ২১:৩৪, ২ মে ২০২৪

সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক-পুলিশ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ২

ছবি: আপন দেশ

পাবনার সুজানগরে পুলিশের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের ব্যপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় অন্তত দুইজন গুলিবিদ্ধসহ দশজন আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধদের পুলিশ হেফাজনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পরস্পরকে দোষারোপ করছে। উভয়ে উভয়কে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আসছেন। এছাড়াও নির্বাচন কমিশন বরাবর অভিযোগও দিয়েছেন। 

পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সুজানগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শাহীনুজ্জামান। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী। তার প্রতীকও আনারস। অন্যদিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল ওহাবও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী। তার প্রতীক মোটর সাইকেল।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ভায়না ইউনিয়নের কালীর মোড়ে এ দুই প্রার্থীর সমর্থকদের কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে সন্ধ্যায় শাহীনুজ্জামানের সমর্থকরা ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের বাড়িতে হামলার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শাহীন সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ছুঁড়ে। এ সময় ভায়না গ্রামের বাদশা প্রামাণিক ও মতিন শেখ গুলিবিদ্ধ হয়। আহত হয় আরও কয়েকজন। গুলিবিদ্ধদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন বলেন, আমরা আব্দুল ওহাবের মোটর সাইকেলের ভোট করছি বলে শাহীনের সন্ত্রাসী বাহিনী প্রতিনিয়ত আমাদের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে কালীর মোড়ে তারা আমার ভাতিজা আব্দুল আওয়ালকে চর থাপ্পড় ও কিল ঘুষি মারে। এ সময় আমাদের লোকজন তাদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পড়ে তাদের প্রায় অর্ধশত লোকের সশস্ত্র গুন্ডা বাহিনী আমার বাড়ি আক্রমণ করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তাদের সন্ত্রাসীরা আহত হয়েছে। আমি চরম নিরপত্তাহীনতায় ভুগছি।

চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের লোকজন সারা উপজেলায় আমার লোকজনের ওপর হামলা চালাচ্ছে। আমি সকালেই নির্বাচন কমিশনারের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছি। শাহীনের গুন্ডাবাহিনী এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। আমার লোকজনকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। তারা পুলিশকেও মানছে না।

এ বিষয়ে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনও পাল্টা অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আমার এক সমর্থককে মারধর করেন ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন। এ নিয়ে আমার লোকজন জড়ো হলে আমিনের লোকজন পরিকল্পিত হামলা করে আমার সমর্থকদের মারপিট করেছে। আমি আমিন চেয়ারম্যান সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর গ্রেফতার দাবি করছি।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে হট্টগোল নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের লোকজন ভায়না ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি ঘেরাও করলে পুলিশ সেখানে যায়। পুলিশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ও উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। একজন পায়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তাকে পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়